প্রেম-বিয়ে-দাম্পত্য নিয়ে সকলেরই স্বপ্ন থাকে। জীবনসঙ্গী কেমন হবে, সম্পর্কের রসায়ন কেমন হবে, তা নিয়েই একটা ছবি তো থাকেই মনের মধ্যে। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই যে মনের ছবির মতোই জীবন হবে, তা কিন্তু নয়। বরং, দুটো মানুষ একসঙ্গে থাকলে সহজেই একে অপরের ভুল-ত্রুটিগুলো দেখতে পান। তা থেকেই বাড়ে দূরত্ব। কিন্তু দাম্পত্যকলহের নেপথ্যে মূলত ৫টি কারণ। এই বিষয়গুলো যদি এড়িয়ে চলতে পারেন, তাহলে সুন্দর-সুষ্ঠু দাম্পত্য আটকায় কে!
আরও পড়ুনঃ সাদা পোশাক, আট ঘণ্টা শ্রম, মাসে ৫২৪ টাকা; কয়েদি নম্বর ১৫৫২৮
১. একসঙ্গে থাকলে নানারকম সমস্যা আসবেই। একে অপরের সব কিছু পছন্দ করবেন, তা হতে পারে না। সঙ্গীর কোনও আচরণ পছন্দ না হলে এড়িয়ে যাবেন না। বিষয়টা নিয়ে খোলামেলাভাবে কথা বলুন। সঙ্গী কী বলতে চাইছে তা শুনুন। নিজেরটাও জানান। এখানেই মিটে যাবে বহু সমস্যা।
২. দাম্পত্যের একটা বড় সমস্যা হল আর্থিক টানাপোড়েন। কারও সারাজীবন সমান যায় না। জীবনে ওঠা-পড়া থাকেই। তাই অভাব-অনটন আসতেই পারে। তবে অভাব ছাড়াও সমস্যার কারণ হতে পারে অর্থ। হয়তো সঙ্গীর খরচ করার স্বভাব আপনার পছন্দ না হতে পারে। একইভাবে সঙ্গীরও আপনাকে নিয়ে কমপ্লেন থাকতেই পারে। লড়াই-অশান্তি না করে এবিষয়ে সুস্থ আলোচনা করুন। তাহলেই সমস্যা জটিল হবে না।
৩. যে কোনও সম্পর্কে যদি একজনের মনে হয় তিনিই সবটা করছেন, তাহলে আজ হোক বা কাল অশান্তি হতে বাধ্য। তাই ঘরের কাজ হোক না বাইরের, দায়িত্ব ভাগ করে নিন।
আরও পড়ুনঃ ১৭টি ছবিতে কাজ, খুবই দরিদ্র পরিবারের সন্তান; এক বর্ণময় চরিত্র মুম্বাইয়ের গুলাব সলাট
৪. যে কোনও সম্পর্কেই কিছু না কিছু প্রত্যাশা থাকেই। কিন্তু সঙ্গীর থেকে এমন কিছু আশা করবেন না, যা তার পক্ষে সম্ভব নয়। অথবা চাপিয়ে দেবেন না, যাতে বাধ্য হয়ে আপনার প্রত্যাশা পূরণ করতে হয় সঙ্গীকে। তাহলে সমস্যা তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক।
৫. যে কোনও বিষয়ে সমস্যা তৈরি হলে, যত দ্রুত সম্ভব নিজেরা কথা বলুন। মনে রাখবেন, আলোচনার দ্বারা সবসমস্যার সমাধান সম্ভব। তাই প্রাণ খুলে কথা বলুন। সমস্যাগুলো জানান, দেখবেন সমাধান রয়েছে হাতের মুঠোয়।