দেশজুড়ে সমস্ত বিমানবন্দর, হেলিপ্যাড, বিমান ঘাঁটি এবং উড়ান প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে জারি হল হাই অ্যালার্ট। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবরের মধ্যে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই সতর্কতা অবলম্বন করে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান নিরাপত্তা দফতর।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে রমজান শুরুর আগেই নির্বাচন! ঘোষণা ইউনূসের, স্বাগত খালেদার বিএনপির
বুধবারই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে সব রাজ্য পুলিশ, সিআইএসএফ, এয়ারপোর্ট অপারেটর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও বিমান সংস্থাগুলিকে। সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের এক জঙ্গি গোষ্ঠীর নাশকতার ছক কষেছে। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই জারি করা হয়েছে এই সতর্কতা।
আরও পড়ুনঃ নতুন খেলা শুরু ভারত রাশিয়ার! গভীর রাতে রাশিয়ায় অজিত
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব বিমানবন্দর ও অসামরিক উড়ানকেন্দ্রগুলিকে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে। সর্বোচ্চ সতর্কতা নিতে হবে।
কী কী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- প্রতিটি বিমানবন্দর ও উড়ানস্থলে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাতে হবে।
- টার্মিনাল, পার্কিং লট, ব্যারিকেড ঘেরা এলাকায় টহল বাড়াতে হবে।
- এয়ারপোর্ট স্টাফ, ঠিকাদার ও যে কোনও দর্শনার্থীর পরিচয়পত্র কঠোরভাবে পরীক্ষা করতে হবে।
- সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা যাতে সচল থাকে ও লাগাতার নজরদারি চালানো হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
- স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলতে হবে।
এছাড়াও দেশি-বিদেশি সমস্ত উড়ান সংস্থাকে তাদের কার্গো ও মেল স্ক্রিনিংয়ের নিরাপত্তা আরও কঠোর করতে বলা হয়েছে। যে কোনও পার্সেল ঢোকার আগে তা গুরুত্ব দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি, সমস্ত উড়ান প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং ফ্লাইং স্কুলেও বাড়ানো হচ্ছে নজরদারি।
নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মতে, ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর – এই দশদিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই সময়ের মধ্যে বেশ কিছু উৎসব ও জাতীয় ছুটি রয়েছে। ফলে যাত্রীসংখ্যাও বেশি থাকবে। সেই সুযোগেই হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা, এই আশঙ্কায় আগাম সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্র।