কুশল দাসগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
শিলিগুড়ির আশ্রম পাড়ার অভিজিৎ মুখার্জী, মানুষের জন্য চিন্তা করে চলেছেন দিনের পর দিন।করোনা আবহে মানুষ যখন নিজের ঘর থেকেই বের হতো না, অভিজিৎ বাবু তখন মানুষের খাবার যোগানোর কাজে বেরিয়ে পড়েছিলেন। শুধু করোনা বললে ভুল হবে, করনা কালের আগের থেকেই অভিজিৎ বাবু এই কাজ করে এসেছেন। অভিজিৎ বাবু জানালেন আমার একটাই পথ ” জীবে প্রেম করে যেই জন সেজন সেবিছে ঈশ্বর ” স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন জীব সেবাই শিব সেবা “।
এই মতবাদ নিয়ে চলি আমি।
আরও পড়ুন: Siliguri to Kolkata: শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা বাস ভাড়া ৩০০০ টাকা! আতঙ্ক পর্যটকদের
তাই কোন দিকে না তাকিয়ে আমি এ কাজ করে চলেছি। নিজের ছেলেমেয়েদের প্রতিষ্ঠিত করতে পিছু পা হন নি অভিজিৎ বাবু। তার জীবন তার সংগ্রাম, যেন এক বড় ইতিহাস। তিনি জানিয়েছেন যে জীবন যে সংগ্রাম তিনি করে চলেছেন সেটার জন্য তিনি তার নিজের কাছেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আজকের পৃথিবীতে সমাজ,এত কঠোর হয়ে গেছে, মানুষ মানুষকে সাহায্য করতে চায়না।
সেখানে মানুষ এত স্বার্থপর , এত নিজেকে নিয়ে মত্ত,সেখানে অভিজিৎ বাবু নিজেকে ছাপিয়ে মানুষের কাজ করে চলেছেন। এটাই বা ক’জন করে।
উনি করেন সুধু মনের আনন্দে নয়, মানবিকতা কে প্রতিষ্ঠিত করতে।
আরও পড়ুন: South Korea Aeroplane Crash: ১৮১ জনকে নিয়ে ভেঙে পড়ল বিমান
“মানুষকে যদি আমি আনন্দ দিতে পারি দুবালা দুমুঠো খেতে দিতে পারি, আমার চাইতে খুশি আর কেউ হবে না। কারণ আমি মনে করি মানুষকে সেবা করাই ঈশ্বরকে সেবা করা। আর সেটাই আমি করে যাব।
প্রতিদিন সকাল হলেই বেরিয়ে পড়েন অভিজিৎ বাবু। অভুক্ত , অসহায় মানুষকে দেখলেই বুক কেঁপে ওঠে তার। তাইতো আর পারেন না তিনি, মানুষের কষ্টকে এড়িয়ে যেতে।
“আমি করে, যাব আমি চেষ্টা করে যাবো, যতদিন আমি পারবো এবং যতদিন আমার সামর্থ্য থাকবে ” ,জানালেন অভিজিৎ মুখার্জি। ” আমার জীবনের মূল্যবোধ, এবং আমার জীবনের শিক্ষা, এবং ঈশ্বর আর আদর্শ শিক্ষা আমাকে এই কথাই শিখিয়ে দিয়েছে যে মানুষের দুঃখে পিছিয়ে থেকো না, এগিয়ে যাও। তবেই তোমার আসল জয় হবে। আর এটাই আমি করে যাব ” জানালেন অভিজিৎ মুখার্জী।