Sunday, 6 July, 2025
6 July, 2025
Homeআন্তর্জাতিক নিউজBangladesh: মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক ওয়াকারের

Bangladesh: মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক ওয়াকারের

বাহিনীর শীর্ষ পদে থাকা নিয়েও অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। আগামী মাসে সেনাপ্রধান হিসাবে তাঁর কার্যকালের এক বছর পূর্ণ হবে।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

মঙ্গলবার ফের সেনা অফিসারদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানঢাকায় সেনানিবাসে এই বৈঠক হবে। অফিসারদের উদ্দেশে তিনি কী বলবেন তা নিয়ে জল্পনার পারদ চড়তে শুরু করেছে।

দু’দিন আগেই ঢাকা সেনানিবাস তথা ক্যান্টনমেন্টের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ক্যান্টনমেন্টের চারপাশে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সভা-সমিতি নিষিদ্ধ করেছে সেনাবাহিনী। হালে কয়েকজন বরখাস্ত সেনা অফিসারের বিক্ষোভ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন: স্বর্ণমন্দিরকে লক্ষ্য করেই মিসাইল ছুড়েছিল পাকিস্তান, কীভাবে রুখল জানাল সেনা

আওয়ামী লিগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর ফের আলোচনায় এসেছেন সেনাপ্রধান। তাঁর বাহিনীর শীর্ষ পদে থাকা নিয়েও অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। আগামী মাসে সেনাপ্রধান হিসাবে তাঁর কার্যকালের এক বছর পূর্ণ হবে। আরও দু বছর ওই পদে থাকার কথা তাঁর। কিন্তু সেনাপ্রধান হিসাবে পুরো মেয়াদ থাকার সুযোগ পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে  আওয়ামী লিগকে নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের কথা বলে আসছিলেন ওয়াকার। হাসিনার দলকে মহম্মদ ইউনুসের সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় স্বভাবতই সেনাপ্রধান চাপে পড়েছেন বলে ওয়াকিবহাল মহলের খবর।

আরও একটি কারণে ওয়াকার উজ জামানকে নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে উঠেছে। আগামী ১০ জুনের মধ্যে জুলাই-অগাস্ট  বিপ্লব নিয়ে ঘোষণাপত্র জারি হওয়ার কথা। সেই ঘোষণার জেরে সংবিধান স্থগিত করা হলে বর্তমান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এবং সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জোরদার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। দু’জনকেই সরাতে চান প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস।

আরও পড়ুন: গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে আড়িয়াদহের ত্রাস জয়ন্ত সিং-এর সেই সাধের অট্টালিকা, নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

সেনাপ্রধানের অফিসার্স অ্যাড্রেস নিয়ে জল্পনার আরও এক কারণ সোমবার তিন মার্কিন কূটনীতিকের সঙ্গে সেনানিবাসে ওয়াকারের বৈঠক। তিন কূটনীতিকের একজন ঢাকায় কর্মরত কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি অ্যান জ্যাকবসন।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত মায়ানমারে  ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে বাংলাদেশকে হিউম্যান করিডর হিসাবে ব্যবহারের প্রস্তাবে সেনাপ্রধানের সায় নেই বলে খবর। রাষ্ট্রসংঘের বকলমে ওই উদ্যোগের পিছনে মার্কিন প্রভাব কাজ করছে বলে জানা যাচ্ছে। মানবিক করিডরকে ভবিষ্যতে আমেরিকা সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারে, আশঙ্কা করছেন কূটনৈতিক ও সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। প্রস্তাবিত করিডর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে। একাধিক সুত্রের খবর, মহম্মদ ইউনুস সরকার  মানবিক করিডর দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও সেনাপ্রধান বেঁকে বসেছেন৷ তাঁকে রাজি করাতেই মার্কিন কূটনীতিকরা সেনানিবাসে গিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন