অভিনেতা বিজয়ের জনসভায় মর্মান্তিক কাণ্ড। শনিবার অভিনেতার নিজের প্রতিষ্ঠা করা রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেটরি কাজাগম (টিভিকে)-এর জন সমাবেশে প্রবল হুড়োহুড়ি। পদদলিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩১ জনের। অসুস্থ আরও অসংখ্য ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। সূত্রের খবর, ঘটনা নজরে আসতেই বক্তৃতা থামিয়ে দেন বিজয়। অসুস্থদের মধ্যে শিশুরাও ছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন।
তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পদদলিত হয়ে প্রায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬ জন শিশু এবং ১৬ জন মহিলা রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিজয় সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়াতেই ঘটেছে পদদলিত হওয়ার ঘটনা। জানা গিয়েছে, শনিবার বিজয়ের রাজনৈতিক দলের প্রচারে প্রায় দশ হাজার মানুষের সমাবেশ হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ পুজো দেখতে আসাই যেন কাল হল বাংলাদেশি হিন্দুদের, পুলিশের হাতে পাকড়াও
সূত্রের খবর, কয়েকজন কর্মী পরিস্থিতি লক্ষ্য করে সতর্কতা জারি করেন। তড়িঘড়ি বক্তৃতা থামিয়ে তাঁর প্রচার বাসের উপরে থেকে জলের বোতল ছুঁড়তে থাকেন অভিনেতা তথা রাজনৈতিক নেতা বিজয়। প্রবল ভিড়ের মধ্যে অ্যাম্বলেন্সের অসুস্থদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছতেও সমস্যা হয় বলেই জানা গিয়েছে। অজ্ঞান হওয়া ব্যক্তিদের অ্যাম্বুলেন্সে করে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ৩১ জনের মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনঃ কচ্ছপের গতি পেরিয়ে অবশেষে আধুনিকীকরণ, BSNL ‘ফোর জি’ পরিষেবার সূচনা প্রধানমন্ত্রীর
ঘটনায় তামিলনাড়ু সরকারকেই তোপ দেগেছে বিজেপি। তামিলনাড়ু পুলিশকে এমন একটি সমাবেশের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল। DMK সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে এবং পদক্ষেপ নিতে হবে বলেই এদিন দাবি জানিয়েছে বিজেপি। এক্স হ্যান্ডেলে ঘটনার কথা শেয়ার করে শোক প্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন।
রাজ্যের দুই মন্ত্রী অনবিল মহেশ এবং মা সুব্রমণিয়মকে ঘটনাস্থলে তত্ক্ষণাত্ যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে স্ট্যালিন লিখেছেন, ‘‘কারুর থেকে আসা রিপোর্টগুলি উদ্বেগজনক। আমি প্রাক্তন মন্ত্রী অনবিল মহেশ এবং মা সুব্রমণিয়ম এবং জেলা কালেক্টরকে নির্দেশ দিয়েছি যে ভিড়ের কারণে অজ্ঞান হয়ে পড়া এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জনগণকে অবিলম্বে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা নিশ্চিত করতে। আমি তিরুচিরাপল্লি জেলার মন্ত্রী অনবিল মহেশকে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় সাহয্যের নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়াও, আমি ADGP-এর সঙ্গে কথা বলেছি যাতে পরিস্থিতি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়’’।