বৃষ্টির দিনে সন্ধ্যায় মুখরোচক কিছু খেতেই মন চায়। গরম চায়ের সঙ্গে ‘টা’ হিসেবে আলুর পকোড়া বা পেঁয়াজি একঘেয়ে হয়ে গিয়েছে। মাছের চপ বা মটনের কাটলেট খেতে হলে সেই দোকানেই অর্ডার দিতে হয় বেশির ভাগ সময়ে। তার চেয়ে বাড়িতেই সহজ পদ্ধতিতে বানিয়ে ফেলতে পারেন মটন প্য়ান্থারাস। উত্তর কলকাতায় খুবই বিখ্যাত এই স্ন্যাক্স। মূলত অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান রান্নাতেই এর খোঁজ মেলে। তবে বাঙালির পছন্দের স্ন্যাক্সের তালিকায় বহু দিন ধরেই নাম রয়েছে মটন প্যান্থারাসের। পাঁঠার মাংসের কিমার সঙ্গে কিছু মশলা দিয়ে পুর বানিয়ে সেই মিশ্রণকে পাতলা ময়দার চাদরে ঢেকে ফুটন্ত তেলে ভেজে ফেললেই তৈরি হয়ে যাবে মটন প্যান্থারাস।
আরও পরুনঃ সমতলে ঘাটতি, পাহাড়ে রেকর্ড; উত্তরবঙ্গের অর্থনীতিতে আশা দেখাচ্ছে চা শিল্প
উপকরণ
২৫০ গ্রাম মটন কিমা
২টি পেঁয়াজ বড়, কুচোনো
দেড় চামচ আদাবাটা
দেড় চামচ রসুনবাটা
২-৩টি কাঁচালঙ্কা
১টি গোটা টম্যাটো কুচোনো
১ চামচ হলুদগুঁড়ো
১ চামচ লঙ্কাগুঁড়ো
দেড় চামচ ধনেগুঁড়ো
দেড় চামচ জিরেগুঁড়ো
১ চামচ গরমমশলা গুঁড়ো
১ চামচ লেবুর রস
২টি ডিমপরিমাণ মতো ব্রেড ক্রাম্ব
পরিমাণ মতো ময়দার ক্রেপ
ধনেপাতা কুচি
নুন ও মিষ্টি স্বাদমতো
আরও পরুনঃ ভারত-বাংলাদেশ বর্ডারে গুলি; স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা
প্রণালী
প্রথমে, কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি দিয়ে ভাজুন। সোনালি হয়ে এলে আদা ও রসুন বাটা দিয়ে কষিয়ে নিন। এ বার মাংসের কিমা, জিরে, ধনে, লঙ্কা এবং গরমমশলার গুঁড়ো দিয়ে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিন। নুন দিয়ে কিছু ক্ষণ কষিয়ে নিন। এর পর সামান্য জল দিয়ে মাংস সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
কিমা ভাল ভাবে সেদ্ধ হয়ে গেলে এবং জল শুকিয়ে গেলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে মিশিয়ে নামিয়ে নিন।
ফেটানো ডিম এবং ব্রেড ক্রাম্ব আলাদা পাত্রে রাখুন। একটি ময়দার ক্রেপ নিয়ে তাতে কিছুটা মাংসের কিমা ভরে চারপাশ মুড়ে দিন। ডিমের গোলায় ডুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে নিন। গরম তেলে এ পিঠ-ও পিঠ ভাল করে ভেজে নিন। কাসুন্দি বা পছন্দের সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।