ইংরেজি ‘নিউ ইয়ার’-এর সঙ্গে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের ফারাক অনেকটাই। আবহাওয়ার পার্থক্য থাকেই। বাংলার বর্ষবরণ হয় তপ্ত বৈশাখে। ফারাক হয় আনন্দ, উচ্ছ্বাসের ধরনেও।
ইংরেজি ‘নিউ ইয়ার’-এর সঙ্গে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের ফারাক অনেকটাই। আবহাওয়ার পার্থক্য থাকেই। বাংলার বর্ষবরণ হয় তপ্ত বৈশাখে। ফারাক হয় আনন্দ, উচ্ছ্বাসের ধরনেও।
আরও পড়ুন: ‘শিলিগুড়িটা বেশ বদলে গিয়েছে….’, ওরা কি ‘শুভ নববর্ষ’ বলে
শহর থেকে নদী দেখেছেন। তবে বিকেলবেলায় গঙ্গার বুকে নৌকোয় ভেসে পড়েছেন কি? পুরনো স্মৃতি ঝালিয়ে নিতে কিংবা নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে প্রিন্সেপ ঘাট থেকে ভেসে পড়তে পারেন গঙ্গার বুকে। ঠিক সন্ধ্যা নামার মুখে যখন তিলোত্তমা আলোকোজ্জ্বল হয়ে ওঠে, সে রূপও দেখার মতোই বটে।
লাইট অ্যান্ড সাউন্ড
ইচ্ছে হলে বিকেলবেলা যেতে পারেন আলিপুর জেল মিউজ়িয়াম বা ভিক্টোরিয়ায়। আলিপুর জেল মিউজ়িয়ামে সন্ধ্যায় লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো হয়। আলিপুর জেল মিউজ়িয়ামের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, মঙ্গলবার সাড়ে ৬টা থেকে তা শুরু হয়। শব্দ এবং আলো, ভাষ্যের সাহায্যে ফুটিয়ে তোলা হয় ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস। সান্ধ্য লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের আয়োজন থাকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলেও। তাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, সেটি দেখতে হলে পূর্ব গেটে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় গিয়ে টিকিট কাটতে হয়। শো শুরু হয় আরও কিছুটা পরে।
বিকেলে বেড়িয়ে পড়ুন
নিউটাউনের ওয়াকিং স্ট্রিট, সেক্টর ফাইভে কলকাতার ‘টাইম স্কোয়ার’ ঘোরা হয়েছে? হাঁটাহাটি, ঘোরা, আড্ডা মারার সব আয়োজনই রয়েছে সেখানে। ওয়াকিং স্ট্রিটে বিদেশি ফুড-ট্রাকের মতোই ট্রাকেই মিলবে রকমারি খাবার। সেক্টর ফাইভে কলকাতার ‘টাইম স্কোয়ার’-বলে পরিচিত জায়গাটিতে সন্ধ্যা হলেই আলো জ্বলে ওঠে। রয়েছে দারুণ বসার জায়গা। তার আশপাশে অসংখ্য রেস্তরাঁ, পানশালা।
এমন পরিবেশ উপভোগ্য হতে পারে পাটুলির কাছেও। পাটুলি মোড়ে জলাশয়ের পাশের রাস্তার একপাশে রয়েছে নানা রকম খাবারের আয়োজন। রয়েছে বসার জায়গাও। সন্ধ্যায় জমজমাট হয়ে ওঠে এই স্থান।
আরও পড়ুন: পয়লা বৈশাখে দুই প্রবীণের কামড়াকামড়ি, রক্তারক্তি কাণ্ড হুগলিতে
বেড়িয়ে পড়তে পারেন গাড়ি নিয়েও
ছুটির দিনে অনেকেই চান ঘুরে আসতে। ‘লং ড্রাইভ’ পছন্দের তালিকায় থাকলে বেরিয়ে পড়তে পারেন শহর ছাড়িয়ে। দিনভর ব্যস্ততা থাকলে সন্ধ্যায় বেরিয়ে কোলাঘাটের দিকে গিয়ে পছন্দের কোনও রেস্তরাঁয় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে পারেন। আবার ডানকুনি হয়ে দিল্লি রোড ধরে ব্যান্ডেল, আদিসপ্তগ্রামের দিক থেকেও ঘুরে আসা যায়। দিল্লি রোডের ধারে উন্মুক্ত পরিবেশে দারুণ সব ধাবা রয়েছে। সন্ধ্যায় আলো জ্বলে উঠলে দেখতে বেশ লাগে। সেখানে খাওয়া-দাওয়া সারতে পারেন। চা নিয়ে খাটিয়ায় বসে আড্ডাও দিতে পারেন। আবার দিল্লি রোড থেকে চলে যেতে পারেন শহরতলির কোনও প্রান্তে। মন চাইলে ঘুরে আসতে পারেন চন্দননগর স্ট্র্যান্ডেও।