দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা; কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি; সোমেন দত্ত, কোচবিহারঃ
কলকাতা ও জেলা: বনেদি বাড়ির পুজো থেকে বারোয়ারি— মহাষ্টমীতে দেখা যাচ্ছে মহাধুম। প্রাণের পুজোয় একেবারে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে বাংলা। জোর কদমে প্যান্ডেল হপিংয়ে পা মিলিয়েছেন আট থেকে আশি। অষ্টমীর দুপুরে আবহাওয়া খানিকটা পুজোর আমেজে দাগ কাটার চেষ্টা করেছিল। মাঝে মাঝে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কলকাতা থেকে শুরু করে জেলার নানা মণ্ডপে দর্শনার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন। পঞ্চমী, ষষ্ঠী ও সপ্তমীর ভিড়কে যে অষ্টমীর ভিড় টেক্কা দেবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মহাষ্টমীর সন্ধে গড়াতে না গড়াতেই সেই ছবিটা হুবহু মিলে যাচ্ছে।
সকাল সকাল অষ্টমীর অঞ্জলি দিয়ে অনেকে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েন শহরের নানা প্রান্তে। এ বার কলকাতায় ভিড় টানছে বেশ কয়েকটি পুজো মণ্ডপ। তালিকায় রয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের থিম ‘অপারেশন সিঁদুর’, উত্তরের আকর্ষণ টালা প্রত্যয়ের ‘বীজঅঙ্গন।’ এর পাশাপাশি রয়েছে শ্রীভূমি, সুরুচি সংঘ, চেতলা অগ্রণীর পুজো এবং ত্রিধারার পুজোও।
আরও পড়ুনঃ ‘জৌলুস’ হারাচ্ছে যৌনপল্লি! বাবুদের অভাবে ‘দেবীদের’ মাটিতে হল না দেবী বন্দনা
সজল ঘোষের সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোতে এর আগে নোটিস গেলেও সেখানে ভিড়ের সংখ্যা কমার পরিবর্তে বেড়েই চলেছে। মহাষ্টমীর সন্ধে গড়াতে না গড়াতেই ত্রিধারার পুজোতেও গিয়েছে নোটিস। অঘোরিদের লাইভ পারফরম্যান্সে নাকি দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। সেই কারণেই নোটিস। যদিও এর ফলে ত্রিধারার দর্শনার্থী কিন্তু কমছে না।
অন্যদিকে বেলুড় মঠ থেকে ম্যাডক্স স্কোয়ারেও দেখা যাচ্ছে দর্শনার্থীদের ভিড়। পুজোর তো আর সেই ভাবে দেখতে গেলে একটা দিন বাকি, নবমী। তাই অষ্টমীতেই যতগুলো সম্ভব ঠাকুর দেখার প্ল্যান নিয়ে অনেকেই বেরিয়েছেন। রাত যত বাড়ছে, কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণের প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে মারাত্মক ভিড়ও বাড়ছে। পাশাপাশি নানা জেলার থিম পুজোও এ বার পাল্লা দিয়ে ভিড় টানছে। মণ্ডপ সজ্জা থেকে প্রতিমার মুখ সব কিছুতেই কলকাতার নানা পুজোকে টেক্কা দিচ্ছে জেলার পুজোও।
শিলিগুড়ি ও উত্তরবঙ্গঃ
মহাষ্টমীর রাতেই চুটিয়ে পুজো দেখতে পথে আমজনতা। শিলিগুড়ি থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে কমবেশি ছবি একই রকম। শিলিগুড়িতে কখনও ভিড়ে সুব্রত সঙ্ঘ-দাদাভাই স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোকে টেক্কা দিচ্ছে সেন্ট্রাল কলোনি, কখনও বা সেন্ট্রাল কলোনিকে পেছনে ফেলছে সুব্রত সঙ্ঘ-দাদাভাই স্পোর্টিং ক্লাব। আবার উজ্জ্বল সংঘ, সঙ্ঘশ্রী, হায়দারপাড়া স্পোর্টিং বা জাতীয় তরুণ সঙ্ঘের মতো ক্লাবগুলোও ভিড় টানার লড়াইয়ে প্রথম সারিতে উঠে আসছে। চুম্বকে মহাষ্টমীর সন্ধে থেকে এটাই ছিল শিলিগুড়ির বিভিন্ন পুজো মণ্ডপের ছবি। মণ্ডপের সামনে শুধু কালো কালো মাথা ছাড়া আর কিছুই দেখা যায়নি। বিভিন্ন রাস্তায় অবশ্যম্ভাবী যানজট, যা সামলাতে পুলিশকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের হিমশিম খেতে হয়েছে। তবে বিগ বাজেটের পুজোগুলোকে সমান তালে টেক্কা দিয়েছে ছোট পুজোগুলোও।
আরও পড়ুনঃ সাত হাজারের বানান ‘Saven Harendra’! স্কুল প্রিন্সিপালের বানানের ছিরিতে টিটকারি
তবে শুধু শিলিগুড়ি কেন? জলপাইগুড়ির তরুণ দল, ধূপগুড়ির মিলন সংঘ, বা ময়নাগুড়ির বিবেকানন্দ ক্লাব ভিড় টেনেছে একই ভাবে। দক্ষিণ দিনাজপুরের কবিতীর্থ অ্যাথলেটিক বা হিলির বিপ্লবী সঙ্ঘে রাত ১০টাতে তিল ধারনের জায়গা ছিল না। ভিড় উপচে পড়েছে মালদা মালঞ্চপল্লী, নেতাজি ক্লাব ও লাইব্রেরি বা ঘোড়াপীর সর্বজনীন কমিটির পুজোতেও। সন্ধের পর থেকে উত্তর দিনাজপুরের বিপ্লবী সর্বজনীন দুর্গোৎসব, উদয়পুর বারোয়ারি বা রূপাহার যুব সংঘের ভিড় সমানতালে টেক্কা দিয়েছে অন্যপুজোগুলোকে। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের পুজোগুলোও কোনও দিক থেকে পিছিয়ে নেই। সন্ধের পরই কোচবিহারের ছাট গুড়িয়াহাটি নেতাজি স্কোয়ার সংঘ, দিনহাটা শহিদ কর্নার বা বলরামপুর রোড কালীবাড়ি দুর্গাপূজা কমিটির পুজোয় মানুষের ঢল নামে। আলিপুরদুয়ারে ফালাকাটা কলেজপাড়া সর্বজনীন দুর্গা পূজা কমিটি, মিলন সংঘ, বা স্বামী বিবেকানন্দ ক্লাবের পুজোতেও ভাল ভিড় হয়।
তবে শুধু শিলিগুড়ি কেন? জলপাইগুড়ির তরুণ দল, ধূপগুড়ির মিলন সংঘ, বা ময়নাগুড়ির বিবেকানন্দ ক্লাব ভিড় টেনেছে একই ভাবে। দক্ষিণ দিনাজপুরের কবিতীর্থ অ্যাথলেটিক বা হিলির বিপ্লবী সঙ্ঘে রাত ১০টাতে তিল ধারনের জায়গা ছিল না। ভিড় উপচে পড়েছে মালদা মালঞ্চপল্লী, নেতাজি ক্লাব ও লাইব্রেরি বা ঘোড়াপীর সর্বজনীন কমিটির পুজোতেও। সন্ধের পর থেকে উত্তর দিনাজপুরের বিপ্লবী সর্বজনীন দুর্গোৎসব, উদয়পুর বারোয়ারি বা রূপাহার যুব সংঘের ভিড় সমানতালে টেক্কা দিয়েছে অন্যপুজোগুলোকে। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের পুজোগুলোও কোনও দিক থেকে পিছিয়ে নেই। সন্ধের পরই কোচবিহারের ছাট গুড়িয়াহাটি নেতাজি স্কোয়ার সংঘ, দিনহাটা শহিদ কর্নার বা বলরামপুর রোড কালীবাড়ি দুর্গাপূজা কমিটির পুজোয় মানুষের ঢল নামে। আলিপুরদুয়ারে ফালাকাটা কলেজপাড়া সর্বজনীন দুর্গা পূজা কমিটি, মিলন সংঘ, বা স্বামী বিবেকানন্দ ক্লাবের পুজোতেও ভাল ভিড় হয়।