Monday, 3 November, 2025
3 November
Homeদক্ষিণবঙ্গHumayun Kabir: ফের মুখ খুললেন হুমায়ুন! 'মুর্শিদাবাদে তৃণমূলকে ২০ থেকে ১০ এ...

Humayun Kabir: ফের মুখ খুললেন হুমায়ুন! ‘মুর্শিদাবাদে তৃণমূলকে ২০ থেকে ১০ এ নামাব’

এবার কার্যত হুঁশিয়ারির সুর।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

দলনেত্রীর পর এবার দলকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।

গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একবন্ধনীতে রেখে আক্রমণ শানিয়েছিলেন হুমায়ুন। বলেছিলেন, সবাই উত্তরবঙ্গে দৌডে় যায়, মুর্শিদাবাদের গঙ্গাভাঙন নিয়ে কারও মাথা ব্যথা নেই।

এবার নিজের আক্রমণাত্মক আচরণ প্রসঙ্গে দলকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন ভরতপুরের বিদ্রোহী বিধায়ক।

আরও পড়ুনঃ উদ্দাম যৌনতা! বালুরঘাটের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন মাঠ সংলগ্ন লজে জোর উত্তেজনা

 ভাইফোঁটার এক অনুষ্ঠান শেষে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে হুমায়ুন বলেন, “২০২৩ সাল থেকে বলছি, দু’জন ব্লক সভাপতিকে সরান। চিঠি দিয়েছি, অনুরোধ করেছি। কেউ শুনল না”। তারপরই শুরু দলের ভেতরের ‘চোর ছ্যাঁচড়ামো’র অভিযোগে সোজাসুজি নাম ধরে আক্রমণ, “যারা বালির ঘাট থেকে তোলাবাজি করছে, পুলিশের সঙ্গে ভাগ বসাচ্ছে, তারা এখন নেতা হয়ে বসে আছে!”

বালির দাম থেকে পুলিশের ‘জুলুম’, ক্যান্টিনে মাল বিক্রি — একে একে সব প্রসঙ্গই তুললেন তিনি। বললেন, “এক লরি বালি যেখানে ৪০ হাজারে পাওয়ার কথা, আজ লাগছে ৫০ হাজার! কেন? এই অন্যায় আমি মেনে নেব না।”

তারপরই হুমকির সুরে হুমায়ুনের ঘোষণা, “আমাকে যদি অসম্মান করো, আমি দু’টো সিটে দাঁড়াব। জিতে দেখাব কার সঙ্গে মানুষ আছে।”

দলের জেলা নেতৃত্বকেও তীব্র কটাক্ষ, “এই ভীষ্ম, অপূর্ব সরকার, নিয়ামত হাজি, খলিলুর রহমান— এরা নাকি নেতা! বাকিরা তেজপাতা। তরকারিতে দিলে গন্ধ আসে, কিন্তু খাওয়ার নয়।”

নেতাদের পারিবারিক পরিচয় টেনে একের পর এক তোপ — “ফতেমা মহিলা নেত্রী, তার বরকে ভোটে ঘুষি মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছে, সে হচ্ছে নেত্রী! কাউসারের বাবা আজও কংগ্রেস করে — সে হচ্ছে নেতা!”

আরও পড়ুনঃ উৎসব পেরোতেই ট্রেনে ‘রিগ্রেট’! পাহাড়-ডুয়ার্সে শীতের আগেই পর্যটন জমজমাট

শেষে যেন খোলা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন, “এইসব নেতাদের ছবি টাঙিয়ে ভোটে নামুক, আমি একা নামব — দেখা যাক কার কত দম আছে!”

এসব কথার জন্য দল যদি পদক্ষেপ করে? হুমায়ুনের সাফ কথা, “বেরিয়ে তো যেতে চাই! বের করে দিক তারপর বোঝাব এই জেলায় ভোট কেমন হয়!” এখানেই না থেমে হুমায়ুনের হুঁশিয়ারি, “আমাকে দল থেকে বের করে দেখাক না! মুর্শিদাবাদে আসন সংখ্যা ২০ থেকে ১০ এ নামাব!”

এখানেই না থেমে হুমায়ুন এও বলেন, “২০২১ সালে এই জেলায় ২২টি আসনের মধ্যে আমরা ২০টি আসনে জিতেছিলাম। দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তো ছিলই, সঙ্গে আমিও ছিলাম।”

কোনওরকম রাখ ঢাক না রেখে হুমায়ুন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এ জেলায় তৃণমূলের প্রধান কাণ্ডারি তিনি। ভরতপুরের বিধায়কের এহেন মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই দলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এখন দেখার শীর্ষ নেতৃত্ব কোনও পদক্ষেপ করে কিনা।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন