‘তামান্নার বাড়িতে যাব। খুব তাড়াতাড়ি যাব। মায়ের প্রতি সমবেদনা রয়েছে।’ শপথগ্রহণের ২৪ ঘণ্টা আগে কলকাতায় এসে বললেন কালীগঞ্জের নবনির্বাচিত বিধায়ক আলিফা আহমেদ। ২৩ তারিখ উপভোটের ফল সামনে আসতেই দেখা যায় বিরোধীদের ধরাশায়ী করে বিশাল জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জয় নিশ্চিত হতেই বিশাল বিজয় মিছিল বেরিয়ে পড়ে এলাকায়। আর সেখান থেকে ছোড়া বোমাতেই প্রাণ যায় বছর দশেকের তমান্না খাতুন। তার পরিবার এলাকায় বাম সমর্থক বলে পরিচিত। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বিগত কয়েক দিন ধরেই ব্যাপক চাপানউতোর চলছে রাজনীতির আঙিনায়।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা! সব নজর থাকবে বঙ্গ বিজেপির দিকে
এরইমধ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েই চলেছে বিরোধীরা। এরইমধ্যে নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে খামে ভরে টাকা দিতে গিয়ে তামান্নার মা সাবিনা বিবির তোপের মুখে পড়েছিলেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। হুমায়ুনকে গ্রেফতারির দাবি তুলেছে সিপিএম। এই হুমায়ুনকেই পরবর্তীতে ‘আগ বাড়িয়ে’ তামান্নার বাড়িতে যাওয়া নিয়ে শোকজ নোটিসও ধরায় তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা শিকেয়! বিশ্বমানের স্টেশনে পরিণত হতেচলা এ কি হাল!
অন্যদিকে যে দিন হুমায়ুন গিয়েছিলেন সেদিনই আলিফার এখনও পর্যন্ত একবার তাঁদের বাড়িতে দেখা করতে না আসা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় সাবিনা বিবিকে। সেই আলিফা এখন বলছেন, “কালীগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে নিন্দা ভাষা নেই। আমি আগেও বলেছি আবার বলছি আমরা যেভাবে একটা বাচ্চাকে হারালাম এখনও মানতে পারছি না। আমি অত্যন্ত মর্মাহত। আমি অবশ্যই তার মায়ের সঙ্গে দেখা করব।” ঘটনার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন আলিফা। যদিও দলের নির্দেশে পরবর্তীতে মুখ খোলা ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি হয়ে যায়। এখন শপথগ্রহণের ২৪ ঘণ্টা আগে তাঁর এ মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের।
বুধবার দুপুর তিনটের সময় স্পিকার উপস্থিতিতে শপথগ্রহণ আলিফার। সূত্রের খবর, তার আগে এদিন বিধানসভায় এসেছিলেন আলিফা। নথিপত্র জমা দেওয়ার জন্য মূলত আসা। তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন তিনি।