বাংলাদেশে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে লস্কর প্রধান হাফিজ সৈয়দ ঘনিষ্ঠ ইবতিসাম ইলাহি জহির। যাচ্ছেন সভায়। দিচ্ছেন ভারতবিরোধী ভাষণও। তাও কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না ইউনূস প্রশাসন? নাকি ভারতবিরোধী ভাবধারাতেই পরোক্ষভাবে সমর্থন জানিয়েছে তারা?
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়ম ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৫ অক্টোবর ঢাকায় পৌঁছেছেন জহির। তারপর থেকেই বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী একাধিক জেলায় সফর করেছেন তিনি। তৈরি করেছেন নিজের নেটওয়ার্ক। আয়োজন করেছেন ধর্মীয় সভারও। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে রাজশাহী ও চাপাইনগঞ্জে ছিলেন জহির। এই সপ্তাহে রংপুরে যাবেন তিনি। সেখানে রয়েছে কয়েকটি সভা। তারপর সেখান থেকেই সফরের জন্য পরবর্তী জেলা নির্ধারণ করবেন জহির।
উল্লেখ্য, ইবতিসাম ইলাহি জহির পাকিস্তানের মার্কাজি জামায়ত আহলে হাদিস নামে একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। এটি পাকিস্তানের ইসলামপন্থী একটি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠন। যা তৈরি হয়েছিল দেশভাগের পর। বরাবর ভারতবিরোধী, কাশ্মীরবিরোধী মন্তব্য করে আন্তর্জাতিক স্তরে বিতর্কে জড়িয়েছেন এই সংগঠনের নেতারা। এমনকি, খোদ জহিরের বিরুদ্ধেও জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রাখার অভিযোগ উঠেছিল। একাংশের মতে, জহির নিজের লস্কর প্রধান হাফিজ সৈয়দ ঘনিষ্ঠ। এবার সেই জঙ্গি ঘনিষ্ঠ ধর্মগুরু ঘুরে বেড়াচ্ছে একেবারে ভারতীয় সীমান্তের অদূরে।
আরও পড়ুনঃ সাতসকালে শহরে তৎপর ইডি; বাড়ির ভিতরে প্রবেশ
প্রসঙ্গত, মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার তৈরির পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সেদেশে পা রাখলেন জহির। এর আগেও এসেছিলেন তিনি। ঘুরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ। তবে এবারের সফর একটু বেশিই তাৎপর্যপূর্ণ। সূত্রের খবর, চলতি সফরে ১২ দিনেরও বেশি বাংলাদেশ থাকতে চলেছেন জঙ্গি ঘনিষ্ঠ ধর্মগুরু ইবতিসাম ইলাহি জহির। আগামী ৬ ও ৭ই নভেম্বর রাজশাহীতে একটি সালাফি সভায় যোগ দেবেন তিনি।
রবিবার ঢাকায় গিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারপার্সন জেনারেল শাহির শামশাদ মির্জা। সেখানেই পাক জেনারেলের হাতে ‘আর্ট অফ ট্রায়ামফ’ নামে একটি বই তুলে দেন মুহাম্মদ ইউনূস। সেই বইয়ের প্রচ্ছদেই দেখা যায় বাংলাদেশের বিকৃত মানচিত্র। ভারতের সেভেন-সিস্টারকেও সেই মানচিত্রে বাংলাদেশের অংশ বলেই দেখানো হয়েছে। একাংশের মতে, ইউনূস সরাসরি গ্রেটার বাংলাদেশের বার্তাকেই উস্কে দিয়েছেন। আর এই আবহে জহিরে বাংলাদেশ সফর, কোনও মতেই সোজা চোখে দেখছে না নিরাপত্তা মহল।





