নৈহাটির বড়মার মন্দিরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেনারসী শাড়ি পরিয়ে দেবী কালীকে পুজো দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য নিয়ে গেলেন কষ্টিপাথরের বড়মার একটি মূর্তি ও একটি ছবি। অভিষেক আগেই জানিয়েছিলেন, বড়মার কাছে পুজো দিতে যাবেন। সেই মতোই মঙ্গলবার দুপুরে নৈহাটি যান তিনি।
আরও পড়ুনঃ ৯ নম্বর ওয়ার্ড, রেলঘুমটি এলাকা, বাচ্চাদের পেটালেন পুলিশসুপার! কোচবিহারে শাস্তি বাজি ফাটানোয়
এ বার ১০২ বছরে পড়ল নৈহাটির বড়মার পুজো। শতবর্ষ প্রাচীন এই পুজো ঘিরে গত কয়েক বছর ধরে উন্মাদনা তুঙ্গে। লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় এখানে। গঙ্গাস্নান করে ভক্তরা দণ্ডি কাটেন মায়ের কাছে, পুজো দেন।
মায়ের মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন কেউ, কেউ আবার কাতর আর্তি নিয়ে মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকেন অপলক। ভক্তি, আবেগ, লৌকিক অলৌকিকতার এ এক বিস্ময়কর মিশেল।
আরও পড়ুনঃ মা দুর্গা ৯, মা কালী ৯, “মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই খড়্গ মানায়,আর কারও হাতে নয়”; বললেন রচনা
এ পুজো শতাব্দী প্রাচীন হলেও বহু দিন পর্যন্ত নৈহাটি অরবিন্দ রোডের উপরে বড়মার মন্দিরে ছবি রেখে পুজো করা হতো। ১০০ বছরে মন্দিরের খোলনলচে পুরোপুরি বদলে ফেলা হয়। বড়মার মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন সারা বছর ভক্তদের ভিড় থাকে। তবে দীপান্বিতা অমাবস্যার পুজো একেবারেই আলাদা।
বড়মার মন্দিরের উল্টো দিকে কালীর বিশাল প্রতিমার পুজো করা হয়। কালীর বিশাল এই উচ্চতার জন্যই তিনি ‘বড়মা’। তাঁকে দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে ভক্ত আসেন। এ দিন অভিষেক প্রথমে সেখানে পুজো দেন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক, নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে। সেখান থেকেই বড়মার মন্দিরে যান তিনি। সেখানেও পুজো দেন।





