বাম জামানার মন্ত্রী, আসানসোলের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীকে নিয়ে অস্বস্তির মধ্যেই নতুন করে বিতর্কে সিপিএম। খাস কলকাতার কসবার পার্টি অফিসে অন্তর্দ্বন্দ্বে রক্তারক্তি কাণ্ড।
আরও পড়ুন: দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের আগে ট্রেন বাতিল নিয়ে তুঙ্গে তরজা
শনিবার কসবার ৯১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমের এরিয়া কমিটির দফতরে রাতে কমিটির বৈঠক চলছিল। সেখানেই প্রথমে কথাকাটাকাটি থেকে বচসা তারপর কামড়াকামড়ি। যার জেরে কারও হাতে, কারও কপালে ব্যান্ডেজ পড়েছে। তারপর তো আর আলোচনা সম্ভব না, শেষে ভেস্তেই যায় বৈঠক।
কসবা এরিয়া কমিটির বৈঠকে অশান্তির ঘটনা নতুন নয়। জানা গিয়েছে শনিবার রাতে যে নেতার হাতে কামড় পড়েছে, তিনি কয়েক মাস আগে বৈঠকে অশান্তির কারণে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। প্রায় ২০ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
যদিও এই ঘটনায় দলের কেউ কেউ যেমন বিরক্ত, তেমনই অনেকেই বলাবলি করছেন, এমনটা নতুন নয়। এক নেতার কথায়, দলের মধ্যে একটা অন্তর্দ্বন্দ্ব আছেই। আজ কসবার ঘটনা সামনে এসেছে ঠিকই, কিন্তু এরকম আরও অনেক এরিয়া কমিটিতেই দলাদলি রয়েছে। .
আরও পড়ুন: ‘আর শুধু সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নয়, RECLAIM POK’, গর্জে উঠলেন অভিষেক
স্থানীয় ওই সিপিএম নেতার কথায়, দু‘নম্বর টালিগঞ্জ এরিয়া কমিটির অভ্যন্তরেও হামেশাই এমন ঝামেলা হয় বইকি। সেখানেও পক্ষ-বিপক্ষ রয়েছে। আর সেই কারণেই অনেক জায়গায় সাংগঠনিক দুর্বলতা সামলে ওঠা যাচ্ছে না। ভবিষ্যতেও যাবে কিনা তাও জোর দিয়ে বলা যায় না।
বস্তুত, মুর্শিদাবাদের এক নেত্রীকে সমাজমাধ্যমে নানা কুরুচিকর বার্তার অভিযোগ ছিল আসানসোলের বংশগোপাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে। যা কার্যত ‘ভার্চুয়াল যৌন হেনস্থা’ হিসাবে অভিযোগ এসেছিল সিপিএমের কাছেই। তার ভিত্তিতেই সিপিএম দলীয় স্তরে তদন্ত করে বংশগোপালকে সম্প্রতি বহিষ্কার করেছে। সেই নিয়ে যখন ঝামেলার শেষ নেই, তখনই আবার মারধর, কামড়াকামড়ির ঘটনা সামনে এল।