৪০ বছর পর মহাকাশে গিয়েছেন কোনও ভারতীয় মহাকাশচারী। গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে কী করছেন, তা জানতে আগ্রহের শেষ নেই সাধারণ মানুষের। ১৪ দিনের মিশন শেষ করে গতকাল, ১০ জুলাই পৃথিবীতে ফেরার কথা ছিল শুভাংশু শুক্লার। কিন্তু তা হয়নি। মহাকাশেই আটকে শুভাংশু ও তার সহকর্মীরা। কবে ফিরবেন তাঁরা পৃথিবীতে? অবশেষে উত্তর দিল নাসা।
আরও পড়ুন: বৈধৃতি যোগের সঙ্গে বিষকুম্ভ যোগ, কৃষ্ণা প্রতিপদ ভাগ্য প্রসন্ন চার রাশির
এর আগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনীতা উইলিয়ামসও মহাকাশে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন। মাসের পর মাস তিনি আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনেই ছিলেন। প্রভাব পড়েছিল তাঁর স্বাস্থ্যেও। একই অবস্থা শুভাংশুদেরও হবে না তো? পৃথিবীতে ফেরার সময়সূচি পিছিয়ে যেতেই এই জল্পনা শুরু হয়েছিল। এবার সেই জল্পনায় ইতি টেনে নাসা জানিয়ে দিল যে ১৪ জুলাই পৃথিবীর দিকে রওনা দেবেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা ও বাকি তিন ক্রু মেম্বার।
নাসার কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের ম্যানেজার স্টিভ স্টিচ বলেন, “আমরা স্টেশন প্রোগ্রামের সঙ্গে কাজ করছি। অ্যাক্সিওম-৪ কাজে নজর রাখা হচ্ছে। বর্তমানে আনডকের টার্গেট রয়েছে ১৪ জুলাই।”
শোনা যাচ্ছে, ১৪ জুলাই আনডকিং হলে, প্রায় একদিন পর ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে প্রশান্ত মহাসাগরে আছড়ে পড়বে শুভাংশুদের নিয়ে আসা মহাকাশযান। একে বলা হয় স্প্ল্যাশডাউন। সুনীতা উইলিয়ামসও যখন পৃথিবীতে ফিরে এসেছিলেন, তখন একই পদ্ধতিতে জলে আছড়ে পড়েছিলেন। মাটিতে পড়ে বিস্ফোরণ বা সংঘর্ষ এড়াতেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
সোমবার বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিটে স্পেস স্টেশন থেকে রওনা দেবেন শুভাংশুরা। পৃথিবীর বুকে মহাকাশযান নামবে মঙ্গলবার। তারপর কিছুদিন রিহ্যাবিলেশনে থাকবেন তাঁরা। মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ শূন্য অবস্থায় এতদিন থাকার পর পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: ‘সর্বজনীন গণেশোৎসব’ এবার থেকে রাজ্য উৎসব; স্বীকৃতি মহারাষ্ট্র সরকারের
প্রসঙ্গত, ২৬ জুন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পা রাখলেন। ভারতীয় মহাকাশচারী হিসাবেও তিনি দ্বিতীয় ব্যক্তি। এর আগে ১৯৮৪ সালে উইং কম্যান্ডার রাকেশ শর্মা মহাকাশে গিয়েছিলেন।
এদিকে, ছেলের ঘরে ফেরার জন্য অধীর অপেক্ষা করছেন শুভাংশুর মা-বাবা ও স্ত্রী। শুভাংশুর মা আশা শুক্লা বলেন, “আমরা খুবই আনন্দিত। যখন আমাদের সন্তান আবার আমাদের কাছে চলে আসবে, তখন আরও আনন্দিত হব। আমরা ওঁর সঙ্গে দেখা করতে পারব। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি ও যেন সুরক্ষিতভাবে ফিরে আসে। ব্যান্ড-বাজনা দিয়ে ওঁকে স্বাগত জানাব।”