বিমান তখন মাঝআকাশে। ভেসে এল ক্যাপ্টেনের গলা। কোনও বিপদসঙ্কেত নয়, বরং আবেগঘন বার্তায় চোখ জলে ভরল বিমানের সমস্ত যাত্রীর।
অন্ধ্রপ্রদেশের এক ইন্ডিগো পাইলট বিমানের যাত্রীদের সামনে আবেগঘন এক ঘোষণায় সম্মান জানালেন মাকে। তিনিও সেই বিমানেই যাত্রী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। পাইলট যশবন্ত ভার্মা জানান, তাঁর মা-ই তাঁকে স্বপ্নপূরণের এই পথে অবিচল সমর্থন জুগিয়েছেন। সেই আবেগঘন ঘোষণার ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ছাব্বিশে পাখির চোখ! মহালয়ার আগে ফের বাংলায় মোদি
একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে দেখা যায়, যশবন্ত ভার্মা মাইকে বলছেন, “সুপ্রভাত লেডিস অ্যান্ড জেন্টলমেন, আমি আপনার ক্যাপ্টেন যশবন্ত। আপনাদের এই সফরে ইন্ডিগোকে বেছে নেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আজকের দিনটা আমার কাছে বিশেষ, কারণ আমার মা যিনি আমার স্বপ্নপূরণের পথে আমাকে সর্বক্ষণ সমর্থন করেছেন – আজ প্রথমবার আমার সঙ্গে বিমানে যাত্রা করছেন। দয়া করে তাঁকে হাততালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানান।”
তিনি আরও জানান, তিরুপতি বালাজির কাছে এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা পরিবারের পক্ষে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখাটাই একসময়ে ছিল অবিশ্বাস্য। কিন্তু তাঁর মা প্রতিটি সংগ্রামে, নিদ্রাহীন রাতগুলোতে, এমনকী এডুকেশন লোনের কিস্তি মেটাতেও পাশে ছিলেন সবসময়।
আরও পড়ুনঃ বাবুরা যায় তাদের এক রাতের রক্ষিতা খুঁজতে; দুর্গাপুজোয় কেন লাগে পতিতালয়ের মাটি?
যশবন্ত বলেন, “আজ আমি যে এখানে ক্যাপ্টেন হিসেবে দাঁড়িয়ে, বিমানে ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব পালন করতে পারছি আর জীবনের স্বপ্ন পূরণ করছি – তার সবটাই মায়ের জন্য। এক কথায় বললে, যদি তুমি না থাকতে, আমিও থাকতাম না।”
বিমানে উপস্থিত যাত্রীরা হাততালি দিয়ে মা-ছেলেকে অভিনন্দন জানান। ভিডিওর ক্যাপশন বলছে, “মাকে স্বাগত জানতে এই ঘোষণা”। যশবন্ত নিজেও কমেন্টে লেখেন— “তুমি যদি না থাকতে, আমর তো অস্তিত্বই থাকত না – শুধু মানুষ বা পাইলট হিসেবে নয়, ক্যাপ্টেন যশবন্তেরও কোনও অস্তিত্ব থাকত না।”
ভিডিওটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। একজন কমেন্টে লিখেছেন, ‘পুরুষদের জয় এই বিশেষ ভিডিও, চোখে জল এল।’ আরেকজন বলছেন, “ডিউটির সময় মায়ের পাশে থাকার এই অনুভূতি অমূল্য।” অনেকেই কমেন্ট বক্সে জানা ভিডিও দেখে আবেগে তাঁদের চোখ ভিজে এসেছে।
এর আগে একইভাবে আলোচনায় এসেছিলেন আরেক ইন্ডিগো পাইলট প্রদীপ কৃষ্ণন। তিনি পাটনা থেকে চেন্নাই যাওয়ার পথে যাত্রীদের উদ্দেশে ভাঙা ভাঙা হিন্দিতে আনন্দঘন ঘোষণা করেছিলেন, “সবকা নমস্কার হ্যায়। মেরা হিন্দি খুব সুন্দর হ্যায়। হম আজ পাটনা সে চেন্নাই যাতা হ্যায়।” এই চেষ্টা দেখেশুনেও বেশ মজা পেয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার মানুষ।