সত্যি হল আশঙ্কা! এবার বিশ্ববাণিজ্যের অন্যতম ব্যস্ত জলপথ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করল ইরান। ইতিমধ্য়েই নাকি দেশটির পার্লামেন্টে এই মর্মে পাশ হয়েছে একটি প্রস্তাব। হরমুজ বন্ধ হলে গোটা বিশ্বের পাশাপাশি প্রভাব পড়বে ভারতেও। প্রয়োজনের প্রায় ৮৫ শতাংশ অশোধিত জ্বালানি তেল এই জলপথেই আমদানি করে ভারত।
আরও পড়ুন: সংঘাতে জড়িয়েছে আমেরিকা; বেড়ে যাবে তেলের দাম রাত পোহালেই
ভারত সরাসরি ইরান থেকে খুব বেশি তেল আমদানি না করলেও, ভারতকে নিজের চাহিদার ৮৫ শতাংশের বেশি তেল বাইরে থেকে কিনতে হয়। এই আমদানির প্রায় ৫০ শতাংশ হরমুজ প্রণালী (বাণিজ্য পথ) দিয়ে আসে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের প্রায় ২০ শতাংশ বাণিজ্য এই পথ দিয়ে হয়। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ছিলই এই যুদ্ধের জেরে ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করলে ভারতের বাণিজ্য বিরাট বাধার সম্মুখীন হবে। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কোনওভাবে যদি হরমুজ প্রণালী ইরান বন্ধ করে সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলি থেকে তেল কেনার বিষয়ে আগেই চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল ভারত। যদিও তাতে ভারতের তেলের ঘাটতি পূরণ হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। তবে যতই বিকল্প প্রস্তুতি নেওয়া হোক না কেন। তেলের আমদানিতে ঘাটতি দেখা দিলে দামও ব্যাপক বাড়বে। গোটা বিশ্বের পাশাপাশি ধাক্কা খাবে ভারতের অর্থনীতি ।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী সৌরভ! ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে শুভাগমন
উল্লেখ্য, ভারতীয় সময় অনুযায়ী, রবিবার ভোররাতে ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন বোমারু বিমান বি-২। মাটির নিচে অবস্থিত এই স্থাপনাগুলি ধ্বংসে ব্যবহৃত হয়েছে আমেরিকার বিধ্বংসী বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা। তিন পরমাণু কেন্দ্রে মার্কিন হামলার পরই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই-এর এক উপদেষ্টা বলেছিলেন, “এবার আমাদের পালা। আমেরিকার নৌবহরে পালটা হামলা চালাবে ইরান।” শুধু তাই নয়, বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেল সরবরাহের প্রধান রুট হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল ইরানের তরফে। কয়েকঘণ্টার ব্যাবধানে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করল ইরান।