ইরানে শুক্রবার সকালের পরে রাতেও হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। আকাশপথে চলেছে হামলা। ছোড়া হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র। ইজ়রায়েল দাবি করেছে, ইরানের ভিতরে প্রবেশ করেও হামলা চালিয়েছে তারা। কী ভাবে গোপনে ইরানে প্রবেশ করে আঘাত হেনেছে ইজ়রায়েলের বাহিনী, এ বার তার কিছু ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ করল সে দেশের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ (বঙ্গবার্তা তার সত্যতা যাচাই করেনি)। তাতে দেখা গিয়েছে, শুক্রবার বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের বিমানহানার আগে কী ভাবে তার পথ প্রশস্ত করেছে মোসাদ।
আরও পড়ুন: আমেরিকার সঙ্গে বৈঠকেই বসতে চাইল না ইরান; ভবিষ্যৎ পরমাণু-যুদ্ধ!
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ যন্ত্র (মিসাইল লঞ্চার) লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে ইজ়রায়েলের বাহিনী। ইজ়রায়েলের সামরিক অফিসারদের উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা সিএনএনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করতে সেখানে আগে থেকেই ড্রোন ঘাঁটি তৈরি করেছে মোসাদ বাহিনী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইজ়রায়েল’-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মোসাদের চরেরা অনেক দিন আগেই অনুপ্রবেশ করেছিলেন ইরানে। মধ্য ইরানে পৌঁছে ঘাঁটি গেড়েছিলেন। নিয়ে আসা হয়েছিল ড্রোন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসকারী প্রযুক্তি। সেই দিয়েই ওই চরেরা ধ্বংস করেছেন ইরানের রেডার ব্যবস্থা, এস-৩০০ অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট ব্যাটারি। এর ফলে ইজ়রায়েল যখন শুক্রবার ‘অপারেশন রাইসিং লায়ন’ শুরু করে, তখন ইরানে অবাধে ঢুকে যায় তাদের যুদ্ধবিমান।
সূত্রের খবর, তেহরানের কাছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডারেও আক্রমণ চালিয়েছে ইজ়রায়েল। তা মোসাদের প্রকাশিত ফুটেজে ধরা পড়েছে বলে দাবি গুপ্তচরদের একাংশের। ইজ়রায়েল দাবি করেছে, শুক্রবার ইরানে ২০০ যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে ১০০ বার হামলা চালিয়েছে তারা। তাদের একটি যুদ্ধবিমানেরও কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। অনেকেই মনে করছেন, ইরানে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে ইজ়রায়েল।
আরও পড়ুন: উত্তেজনা বাড়ছে; ইজ়রায়েলে মৃত্যু মিছিল, নিহত কমপক্ষে ৭৮
শুক্রবার সকাল থেকে ইরানের পরমাণু এবং সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করে ইজ়রায়েল। ইরানের রাজধানী তেহরান এবং সংলগ্ন এলাকাতেও আকাশপথে হামলা চালায় ইজ়রায়েলি সেনা। ইরান এই হামলার কথা স্বীকার করেছে। ইরানের সরাকরি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইজ়রায়েলি হানায় মৃত্যু হয়েছে সে দেশের সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক মেজর জেনারেল মহম্মদ বাগেরির। মৃত্যু হয়েছে ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডের প্রধান কমান্ডার জেনারেল হোসেন সালামি এবং ডেপুটি কমান্ডার জেনারেল ঘোলামালি রশিদের। ইজ়রায়েলি হানায় প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের ছ’জন পরমাণু বিজ্ঞানীও। নিহত বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রাক্তন প্রধান ফেরেউদুন আব্বাসি। ইজ়রায়েলে ঢুকে পাল্টা হামলা শুরু করে ইরানও।