ইরানের পর এবার সিরিয়া। ইজরায়েলের নজর আরও এক মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উপর। বুধবার সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে অবস্থিত সেনা সদর দফতরে হামলা চালাল ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী। জানা গিয়েছে, সেনা সদর দফতর ছাড়াও হামলা চালানো হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অফিসেও। জানা গিয়েছে, যেখানে বোমা হামলা হয়েছে, সেখানেই আবার রয়েছে সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি ভবন। ফলত উদ্বেগ একটা থাকছেই।
আরও পড়ুনঃ যেমন কর্ম তেমন ফল; হাসিনার পতন উদযাপন করতে গিয়ে বেধড়ক মার খেলেন ছাত্রনেতারা
সিরিয়ার সঙ্গে ইজরায়েলের সংঘাতটা আজকের নয়। আবার যখন সীমান্তে বিরতি চুক্তির কথা-বার্তা চলছে, তখনই এই হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। মূলত সিরিয়ার বাসার-আল-আসাদের সরকার পতন হয়ে নতুন একটি প্রতিবাদী সশস্ত্র বাহিনী দেশের দায়িত্ব নিতেই তাদের বিরুদ্ধে সংঘাত ঘোষণা করে ড্রুজ গোষ্ঠী।
এরা দক্ষিণ সিরিয়ার অমুসলিম বাসিন্দা। যাদের সমর্থন জোগায় ইজরায়েল। সম্প্রতি, এই ড্রুজ গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাতবিরতিতে রাজি হয়েছে সিরিয়ার বর্তমান সরকার। আর তখনই তাদের হয়েই হামলা চালিয়ে দিল ইজরায়েল। নেতানিয়াহুর সরকার জানিয়েছে, এই হামলা ওই ড্রুজ গোষ্ঠীদের নিরাপত্তা প্রদানে।
আরও পড়ুনঃ মমতা-অভিষেকদের মিছিলের রুট-বদল, বাঙালি অস্মিতাকে সামনে রেখে বৃষ্টি মাথায় পথে মমতা-অভিষেক
সিরিয়ার প্রশাসন তরফে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত হামলার জেরে কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও, ১৩ জন আহত হয়েছেন। এই হামলায় মুখ খুলেছে জিসিসি বা গাল্ফ কর্পোরেশন কাউন্সিলও। তাঁরা জানিয়েছে, এই ধরণের হামলা আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করে থাকে। এমনকি, একটি দেশের জাতীয় নিরাপত্তাও হস্তক্ষেপ। তবে ইজরায়েল যে এটা প্রথমবার করেছে এমনটা নয়। এর আগেও গত ডিসেম্বরে বাসার-আল-আসাদের সরকারের পতনের পর দামাস্কাসে এই হামলা চালায় তারা।