শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ‘বন্ধু’ কাতার নয়। পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকা মিলিয়ে একসঙ্গে ছ’টি মুসলিম দেশকে নিশানা করল ইজ়রায়েল। পাশাপাশি, ইরান মদতপুষ্ট প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নিয়ে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইহুদি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর হুমকির পর আরব দেশগুলির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে তেল আভিভের রোষের হাত থেকে বাঁচতে তড়িঘড়ি রাশিয়া ছোটেন কাতারের বিদেশমন্ত্রী। অন্য দিকে ইসলামীয় দেশগুলিকে এককাট্টা হওয়ার ডাক দিয়েছে পাকিস্তান।
চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর কাতারের রাজধানী দোহায় বোমাবর্ষণ করে ইজ়রায়েলি বায়ুসেনা। শহরের মধ্যে হামাসের দফতরকে নিশানা করে ইহুদি বিমানবাহিনী। তেল আভিভের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতির ব্যাপারে আলোচনার জন্য সেখানে জড়ো হচ্ছিলেন সংশ্লিষ্ট সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্ব। ঠিক তখনই যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ‘এফ-৩৫ লাইটনিং টু’ লড়াকু জেট থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তেল আভিভের আকাশ-যোদ্ধারা। ইজ়রায়েলের দাবি, কাতারের সামরিক অভিযানে লক্ষ্যপূরণে সক্ষম হয়েছে তারা। অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন সামিট অফ ফায়ার’ (আগুনের শীর্ষ সম্মেলন)।
বিশ্বের একমাত্র ইহুদি দেশটির থেকে দোহার দূরত্ব প্রায় দু’হাজার কিলোমিটার। অতীতে ওই এলাকার কোনও উপসাগরীয় দেশে কখনও হামলা চালায়নি ইজ়রায়েল। বিশ্লেষকদের দাবি, এর অন্যতম বড় কারণ হল কাতারে মার্কিন ফৌজের উপস্থিতি। পারস্য উপসাগরের কোলের আরব মুলুকটির ‘আল-উদেইদ’ বিমানঘাঁটিতে রয়েছে পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ছাউনি। তা সত্ত্বেও দোহায় ইহুদি বিমান হামলার পর স্বাভাবিক ভাবেই উঠে গিয়েছে একটি প্রশ্ন— নেতানিয়াহু সরকারকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা হারিয়েছে ওয়াশিংটন?
আরও পড়ুনঃ নেপালে জরুরি অবস্থা জারির প্রস্তুতি সেনাবাহিনীর!
হামাস নিধনে দোহায় চালানো বিমানহানার পর সংশ্লিষ্ট সংগঠনটির শীর্ষ মধ্যস্থতাকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইজ়রায়েল। যদিও প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীটির পাল্টা দাবি, ইহুদি হামলায় বর্ষীয়ান নেতা খলিল আল-হাইয়ারের ছেলে, দোহা দফতরের পরিচালক, তিন জন দেহরক্ষী এবং কাতারের এক জন নিরাপত্তা রক্ষী-সহ প্রাণ হারিয়েছেন মোট ছ’জন। তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সুরক্ষিত রয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বোমাবর্ষণের ঠিক আগে কাতারের আকাশেই ‘এফ-৩৫’ লড়াকু জেটে জ্বালানি ভরে নেয় ইজ়রায়েলি বায়ুসেনা।
‘অপারেশন সামিট অফ ফায়ার’-এর ঠিক এক দিন আগে (পড়ুন ৮ সেপ্টেম্বর) লেবাননের বেকা এবং হারমেল জেলায় হানা দেয় ইহুদি বিমানবাহিনী। ভারতীয় সময় সকাল ১০টা নাগাদ ইরান মদতপুষ্ট প্যালেস্টাইনপন্থী আর এক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজ়বুল্লার গোপন আস্তানাগুলিকে নিশানা করে তারা। কাতারের গণমাধ্যম ‘আল জ়াজিরা’র দাবি, ঘটনার মৃত্যু হয়েছে পাঁচ থেকে ছ’জনের। অন্য দিকে হিজ়বুল্লার অস্ত্রের গুদাম এবং সামরিক পরিকাঠামো উড়িয়ে দেওয়া গিয়েছে বলে স্পষ্ট করেছে তেল আভিভ।
গত বছরের নভেম্বরে ইজ়রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় প্যালেস্টাইনপন্থী হিজ়বুল্লা। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অভিযোগ, তার পরেও চুক্তি ভেঙে প্রায় প্রতি দিনই সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইহুদি ফৌজ। গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানী বেইরুট থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ বারজ়া গ্রামে আছড়ে পড়ে তেল আভিভের আত্মঘাতী ড্রোন। তাতে প্রাণ হারান হিজ়বুল্লার এক শীর্ষ নেতা। পাশাপাশি, সীমান্তের অন্তত পাঁচটি সেনা ছাউনি ইজ়রায়েল দখল করেছে বলে জানা গিয়েছে।
ব্রিটিশ সংস্থা ‘সিরিয়ান অবজ়ারভেটরি ফর হিউম্যান রাইট্স’-এর (এসওএইচআর) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে দামাস্কাসের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে দেশের ভিতরের একাধিক সামরিক ছাউনিতে বোমাবর্ষণ করে ইজ়রায়েলি বায়ুসেনা। তাঁদের মূল লক্ষ্য ছিল হোমসের বিমানঘাঁটি এবং লাতাকিয়ার সেনা ব্যারাক। দু’টি জায়গাতেই আক্রমণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের এলাকাও কেঁপে ওঠে। ইহুদি হানায় মোট কত জনের মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি।
গত বছরের ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন হলে দীর্ঘ দিন ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসান হয় সিরিয়ায়। পশ্চিম এশিয়ার দেশটির ক্ষমতা দখল করে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নামের বিদ্রোহী গোষ্ঠী। বাশারের স্থলাভিষিক্ত হন তাঁদের নেতা আহমেদ আল-শারা। একটা সময়ে জঙ্গি তকমা দিয়ে তাঁর মাথার দাম কয়েক কোটি ডলার ধার্য করেছিল আমেরিকা। এ বছরের মে মাসে পশ্চিম এশিয়ার সফরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিশ্লেষকদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ওই পদক্ষেপের পরই প্রমাদ গোনে ইজ়রায়েল। কারণ, অতীতে বহু বার আরব দেশগুলির সঙ্গে মিলে ইহুদিভূমিতে আক্রমণ শানিয়েছে সিরিয়া। তা ছাড়া ক্ষমতার আসার পর একবারের জন্যও তেল আভিভকে নিয়ে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ বার্তা দেননি শারা। উল্টে প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির প্রতি প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় রয়েছে তাঁর। এর ফলে আগাম হামলা চালিয়ে শারাকে ‘নির্বিষ’ করতে চাইছে ইহুদি ফৌজ, বলছেন সাবেক সেনাকর্তারা।
হোমসে এবং লাতাকিয়ায় হামলার কড়া নিন্দা করে বিবৃতি দেয় সিরিয়ার বিদেশ মন্ত্রক। এই ঘটনাকে সার্বভৌমত্বের উপর ‘বড় আঘাত’ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য ‘প্রত্যক্ষ হুমকি’ বলে ব্যাখ্যা করেছে দামাস্কাস। উল্লেখ্য, আসাদ সরকারের পতনের পর থেকেই সিরিয়ার সামরিক ঘাঁটিগুলিকে ক্রমাগত নিশানা করে যাচ্ছে ইজ়রায়েল। গত ১০ মাসে বহু বার দামাস্কাসের আকাশসীমা লঙ্খন এবং বোমাবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইহুদি বায়ুসেনার বিরুদ্ধে।
এসওএইচআর আবার দাবি করেছে, ২০২৫ সালে এখনও পর্যন্ত সিরিয়ায় অন্তত ১০০টি হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহুর ফৌজ। এর মধ্যে ৮৬টি বিমানবাহিনী এবং ১১টি স্থলবাহিনী পরিচালনা করেছে বলে জানিয়েছে তারা। শুধু তা-ই নয়, ১৯৭৪ সালের চুক্তি ভেঙে গোলান মালভূমির (গোলান হাইট্স) বাফার জ়োনের অনেকটা দখল করেছে তেল আভিভ। তাদের হাতে ধ্বংস হয়েছে ১৩৫টি এলাকা এবং প্রাণ হারিয়েছেন ৬১ জন।
আরও পড়ুনঃ আলিপুরদুয়ারে নির্মীয়মাণ সেপটিক ট্যাঙ্কে শিশু! কেউ জানতেই পারল না
গত ১০ সেপ্টেম্বর ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ইরান মদতপুষ্ট প্যালেস্টাইনপন্থী হুথিদের গোপন ডেরায় হামলা চালায় ইহুদি বিমানবাহিনী। এক মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সংশ্লিষ্ট উপসাগরীয় দেশটিকে নিশানা করল নেতানিয়াহুর সেনা। এ বছরের ৬ মে সানা বিমানবন্দরে আক্রমণ শানিয়ে এর টার্মিনাল ভবন ধ্বংস করে দেয় ইজ়রায়েলি ফৌজ। ফলে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রানওয়ে। তার আগে ২৮ অগস্ট বিমান হামলায় হুথি প্রধানমন্ত্রী আহমদ আল-রাহাবি এবং তাঁর মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্যকে নিকেশ করে তেল আভিভ।
এর পাশাপাশি ৮ সেপ্টেম্বর উত্তর আফ্রিকার দেশ টিউনিশিয়ার সিদি বো সইদ বন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে একটি জলযান ধ্বংস করে ইজ়রায়েল। ২৩ মিটার লম্বা জলযানটিতে ছিলেন ছয় আরোহী। আগুন লেগে গেলে কোনও মতে তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় প্রশাসন। তেল আভিভের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট জলযানটির প্যালেস্টাইনের গাজ়ায় যাওয়ার কথা ছিল। ভূমধ্যসাগরের তীরের ওই এলাকাটিকে সামরিক অবরোধে ঘিরে রেখেছে নেতানিয়াহুর ফৌজ।
‘আল জ়াজ়িরা’ জানিয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বর থেকে গাজ়ায় আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়েছে ইজ়রায়েল। সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইহুদি হানায় কমপক্ষে মৃত্যু হয়েছে ১৫০ জনের। আহত ৫৪০। বর্তমানে গাজ়ার সমস্ত উঁচু বাড়িগুলিকে নিশানা করছে নেতানিয়াহুর ফৌজ। কখনও সেখানে যুদ্ধবিমান থেকে আছড়ে পড়ছে ক্ষেপণাস্ত্র। কখনও ট্যাঙ্ক দিয়ে সেগুলিকে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইজ়রায়েলি স্থলবাহিনী। ফলে গাজ়াবাসীর আশ্রয় নেওয়ার মতো নিরাপদ স্থান আর নেই বললেই চলে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজ়ায় যুদ্ধ চালাচ্ছে ইজ়রায়েল। সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, গত দু’বছরের সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে। এর মধ্যে ৪০০-র বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন অনাহারে। ধ্বংসস্তূপের নীচে হারিয়ে গিয়েছেন বহু গাজ়াবাসী। ইজ়রায়েল যে সম্পূর্ণ ভাবে গাজ়াকে দখল করতে চাইছে, নেতানিয়াহু ফৌজের আগ্রাসনে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে একসঙ্গে ছ’টি দেশকে নিশানা করার পর প্রকাশ্য বিবৃতি দেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘‘হামাসকে যে বা যারা আশ্রয় দেবে, সেখানে ঢুকে হামলা চালাবে ইহুদি ফৌজ।’’ এর পরই কুখ্যাত জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দার শীর্ষ নেতা ওসামা বিন-লাদেনের প্রসঙ্গ তোলেন নেতানিয়াহু। তাঁর কথায়, ‘‘পাকিস্তানে ঢুকে লাদেনকে নিকেশ করেছিল আমেরিকা। সেই সময়ে সারা বিশ্বের সমর্থন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে। তা হলে ইহুদি হত্যাকারী হামাসের ক্ষেত্রে একই রকমের শাস্তির বিধান হবে না কেন?’’
নেতানিয়াহুর এই হুমকির পর ১৫ সেপ্টেম্বর বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৫৭টি মুসলিম দেশের সংগঠন ‘অর্গানাইজ়েশন অফ ইসলামিক কান্ট্রিজ়’ বা ওআইসি। বিশ্লেষকদের দাবি, সেখানে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে আরব দেশগুলির জোটবদ্ধ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এতে পশ্চিম এশিয়ার সংঘাত পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
অন্য দিকে মার্কিন সেনা ছাউনি থাকা সত্ত্বেও দোহায় ইহুদি হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উপর যথেষ্ট অসন্তুষ্ট কাতার। আর তাই দ্রুত নির্ভরযোগ্য সঙ্গী খুঁজে বার করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ওই উপসাগরীয় দেশ। ইজ়রায়েলি আক্রমণের পরই আরব মুলুকটির বিদেশমন্ত্রী রুশ বিদেশমন্ত্রী সর্গেই লেভরভের সঙ্গে দেখা করেন। এই ঘটনাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
কাতার-সহ ছ’টি দেশে ইজ়রায়েলি হানার নিন্দা করেছে ভারত, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। যদিও তেল আভিভ সেগুলিকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে এমনটা নয়। কারণ, আমেরিকাকে বাদ দিলে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিকে নিরাপত্তা দিতে পারে রাশিয়া এবং চিন। প্রথম দেশটি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যস্ত। আর বেজিং কোনও জায়গায় বাহিনী মোতায়েনের মতো দুঃসাহস দেখাবে বলে মনে করেন না কোনও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকই। হামলার পর নেতানিয়াহুর হুমকি অবশ্য ‘অপারেশন র্যাথ অফ গড’-এর ছায়া খুঁজে পেয়েছেন অনেকে। ১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিক্স চলাকালীন ইজ়রায়েলি অ্যাথলিটদের গেমস ভিলেজে ঢুকে নির্বিচারে খুন করে প্যালেস্টাইনপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠী। ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে অভিযুক্তদের খুঁজে খুঁজে নিকেশ করে ইহুদিদের গুপ্তচর বাহিনী মোসাদ। তাঁদের সেই অভিযান চলেছিল ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত। হামাসের ক্ষেত্রেও এই রাস্তা নিয়েছেন নেতানিয়াহু? উত্তর দেবে সময়।