Wednesday, 5 November, 2025
5 November
Homeউত্তরবঙ্গSiliguri: হৃদরোগকে টাটা বাই বাই, ক্যানসারের 'মহৌষধ'! বিরল 'এই' ফল এবার মিলবে...

Siliguri: হৃদরোগকে টাটা বাই বাই, ক্যানসারের ‘মহৌষধ’! বিরল ‘এই’ ফল এবার মিলবে বাংলাতেই

থাইল্যান্ড থেকে আনা ছোট্ট কিছু চারা গাছ, আর সেই চারাগুলোকে যত্ন করে মাটিতে বসাচ্ছেন গবেষকরা।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ

শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কয়েকদিন আগে একটি বিশেষ দৃশ্য দেখা গেল। থাইল্যান্ড থেকে আনা ছোট্ট কিছু চারা গাছ, আর সেই চারাগুলোকে যত্ন করে মাটিতে বসাচ্ছেন গবেষকরা। এগুলো সাধারণ কোনও ফলের চারা নয়, এগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিরল ফল ম্যাঙ্গোস্টিন, যাকে বলা হয় ‘ফলরানি’। উত্তরবঙ্গের মাটিতে এই প্রথম শুরু হল তার পরীক্ষামূলক চাষ।

ম্যাঙ্গোস্টিন ভারতেও খুব একটা সহজলভ্য নয়। কেবল কেরালা ও তামিলনাড়ুর কিছু অঞ্চলে সীমিত পরিসরে এর চাষ হয়। দামি, বিরল আর সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এই ফলের রয়েছে অসাধারণ ঔষধিগুণ। গবেষণায় প্রমাণিত, এটি ক্যানসার, হৃদরোগ ও রক্তজমাট বাঁধার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ফলে একদিকে যেমন এটি খাদ্যরসিকদের কাছে আকর্ষণীয়, তেমনই স্বাস্থ্যসচেতনদের কাছেও সমান জনপ্রিয়।

আরও পড়ুনঃ ‘কলকাতায় এক ঘণ্টার সফর এখন কয়েক মিনিটে সম্ভব হল, আবার পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নযজ্ঞে শামিল হলাম’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের Centre for Floriculture and Agri-Business Management (COFAM)-এর উদ্যোগে এই পরীক্ষামূলক প্রকল্প শুরু হয়েছে। অধ্যাপক অমরেন্দ্র পান্ডে জানালেন, “আমরা আসলে পরীক্ষা করতে চাই উত্তরবঙ্গের জলবায়ু ও মাটিতে ম্যাঙ্গোস্টিন কতটা ভাল জন্মায়। যদি সফল হই, তবে স্থানীয় কৃষকদের এই ফলের চাষে প্রশিক্ষণ দিয়ে আয়ের নতুন রাস্তা খুলে দেওয়া যাবে।”

চারা থেকে অঙ্কুরোদ্গম হতে যেখানে লাগে ২১-২৫ দিন, সেখানে পূর্ণবয়স্ক ফলদায়ক গাছে পরিণত হতে লেগে যায় প্রায় ৭ থেকে ৮ বছর। তাই এটা দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ হলেও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা বিরাট।

শুধু গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ না রেখে ম্যাঙ্গোস্টিনকে সাধারণ মানুষের কাছেও তুলে ধরার পরিকল্পনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ২৩ আগস্ট শিলিগুড়িতে আয়োজিত হবে একটি বিশেষ ম্যাঙ্গোস্টিন ফুড ফেস্টিভ্যাল। সেখানে মানুষ প্রথমবারের মতো এই বিরল ফল দেখবে, ছুঁয়ে দেখবে এবং স্বাদও নেবে।

আরও পড়ুনঃ সিপিএমের দাবি ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো হল বাম সরকারের সাফল্য

এর আগে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সফলভাবে একাধিক বিদেশি ফল চাষ করেছে। তাই ম্যাঙ্গোস্টিন নিয়েও কর্মকর্তারা যথেষ্ট আশাবাদী। অধ্যাপক পান্ডে বললেন, “আমাদের বিশ্বাস এই উদ্যোগ সফল হলে কৃষকেরা বিপুলভাবে লাভবান হবেন। আর উত্তরবঙ্গও পাবে নতুন কৃষিপণ্য, যা বাজারে বাড়তি চাহিদা তৈরি করবে।”

মাটিতে ছোট্ট চারাগুলো এখনও খুবই নাজুক। তবে গবেষক ও কৃষকদের চোখে সেই চারাগুলোই আগামী দিনের আশার আলো। কে জানে, কয়েক বছরের মধ্যেই হয়তো উত্তরবঙ্গের বাজারে মিলবে নিজস্ব মাটিতে জন্মানো ‘ফলরানি’ ম্যাঙ্গোস্টিন।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন