“ডিভোর্স” (পার্ট -1)
সৌমেন মুখোপাধ্যায়
ছয় বছরের এক সুসম্পর্কের চিরদিনের মতো বিচ্ছেদ করে আনন্দের মধ্যেই দিন কাটাতে থাকে তৃতীয়ার পরিবার। এই ছয় বছরে অক্ষয়ের জীবন যেমন শেষ করে দিয়েছে বলা যত না সঠিক বলা হয়, তার থেকেও বলা যায় তার ছোট্ট একান্নবর্তী পরিবার এক পলকের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ধন সম্পত্তির শেষ করা তো দূরের কথা জীবনটাও শেষ করতে ছাড়েনি তাদের পরিবার। ভগবানের অশেষ কৃপায় প্রাণটুকু হাতে নিয়ে বেঁচে আছে অক্ষয় ও তার পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: Siliguri : শিলিগুড়ির একজন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক হতে চান সায়ন্তন চক্রবর্তী
ছয় বছর আগের সেই দিনগুলোর কথা কর্মজীবনের ফাঁকে ফাঁকে অক্ষয় মনে করতে থাকে। চৌধুরী পরিবারের ছোট ছেলের বিয়ে হয় সম্বন্ধ করে। মধ্যবিত্ত পরিবারের ঘরোয়া পাত্রীর খোঁজ করে একটা গরীব ঘরের মেয়ের সন্ধান তারা পায়। ঘটকের মুখে শুনা গল্পে মন থেকে রাজী হয়ে যায়। মেয়ে নাকি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ, কলেজে ফার্স্ট ইয়ার পড়তে গিয়ে পারিবারিক ও আর্থিক অবস্থার জন্য পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। তার বিয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্রের দেখাশুনা চলছে। মেয়েটির নাম তৃতীয়া নায়েক। পরিবারে মা মানসী, বাবা পদ্মলোচন আর বিবাহিতা দিদি পরমা, আর জামাইবাবু ও তার পুত্র সন্তান। গ্রাম্য পরিবেশ, গ্রামের নাম বাঁশিডি।
আরও পড়ুন: Siliguri: শিলিগুড়ি চম্পা শাড়িতে ১২০টি দোকান ভাঙলো পুরসভা
সম্বন্ধ করে বিয়ে, তাই দেখাশুনার জন্য পাত্রীপক্ষ খুবই সতর্কতার সাথে একের পর এক সমস্ত কিছু যাচাই করে খাঁটি সোনা বেঁচে নিতে খুবই দক্ষ। টেলিফোনের যোগাযোগের থেকে অন্যান্যভাবে সবার সাথে কথাবার্তা করে পাত্রপক্ষের আদ্যপান্ত জেনে নিতে থাকে। তাদের কথায় ‘বিয়ে হল লাখ কথা না হলে বিয়ে ফাইনাল করা যাবে না’। এইদিকে অক্ষয় চৌধুরীর বাড়ীর সাদামাটা সদস্যদের একমাত্র উদ্দেশ্য ‘আমাদের ঘরোয়া, মোটামুটি দেখতে, ঘরোয়া কাজকর্মে পটু, গরীব ঘরের মেয়ে হলেও চলবে’, এই পদক্ষেপে এগিয়ে যায়। ঘটকের কথাবার্তায় যা শুনেছে তাতে দ্বিতীয় কোন কথা বলতে চায় না।