দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদে ইস্তফা দিলেন জগদীপ ধনখড়। সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন তিনি। এদিন সকালেও রাজ্যসভায় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব সামলাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। এরই মধ্যে সন্ধ্যায় পদত্যাগ করলেন ধনখড়।
আরও পড়ুনঃ অসুস্থ নেতানিয়াহু! খুনের ছক ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে
পদত্যাগের কারণ হিসেবে নিজের স্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ করেছেন ধনখড়। চিঠিতে লিখেছেন, পরামর্শ মেনে নিজের স্বাস্থ্যে নজর দেওয়ার জন্যই উপরাষ্ট্রপতি পদে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই আর দায়িত্বে থাকছেন না তিনি।
দায়িত্বে থাকাকালীন কীভাবে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের সমর্থন পেয়েছেন, সে কথা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ধনখড়। তিনি লিখেছেন, “যে আন্তরিকতা পেয়েছি, যেভাবে আমার উপর আস্থা রাখা হয়েছে, তা আমার সারাজীবন মনে থাকবে।উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে যে অভিজ্ঞতা আমি অর্জন করেছি, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”
ধনখড় চিঠিতে বর্ণনা করেছেন, কীভাবে ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের সাক্ষী থেকেছেন তিনি।
চলতি বছরের মার্চ মাসে হৃদরোগজনিত সমস্যার কারণে এইমস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ধনখড়। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
এক সময় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন জগদীপ ধনখড়। পরে রাজনীতিতে প্রবেশ। ২০০৩-এ বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেন। ২০২২ সালে রাজ্যপাল পদে ইস্তফা দেন ও উপরাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেন তিনি।