কুশল দাশগুপ্ত; শিলিগুড়িঃ
দূরত্ব ন্যূনতম কয়েক হাজার কিলোমিটার। তাও জলপাইগুড়ির সাইবার পুলিশের অভিযোগের খাতায় জুড়ে গেল মুর্শিদাবাদ ও কম্বোডিয়ার নাম। ঘটনা গত বছরের অক্টোবর মাসের। জলপাইগুড়ির আদর পাড়ার বাসিন্দা শুভ্রজিৎ দে-র কাছে একটি কল আসে।
আরও পড়ুনঃ ২১১ রুটের বাস, ওভারটেক একে অপরকে; কেষ্টপুর ভিআইপিতে পথ দুর্ঘটনায় মৃ*ত্যু
তারপর সেই ভিত্তিতে দু’টি শেয়ার বাজার সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য হন তিনি। কীভাবে বিনিয়োগ করতে হয়, সেই ভিত্তিতেই আলোচনা হত সেখানে। যার প্রভাব পড়ে শুভ্রজিৎ বাবুর উপর। কয়েক দফায় ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ফেলেন তিনি। বেশ লাভও হয় তার। টাকা ফুলে ফেঁপে উঠতে দেখেন। কিন্তু নির্দিষ্ট জায়গায় বিনিয়োগ করা সেই অর্থ তুলতে গেলেই ঘটে বিপত্তি।
নিজের টাকা থেকে ‘অধিকার’ হারান ওই ব্যক্তি। যতই চেষ্টা করেন, কিন্তু টাকা তো আর ওঠে না। এই পরিস্থিতিতে হতাশ হয়েই দ্বারস্থ হন জলপাইগুড়ি সাইবার থানায়। দায়ের হয় প্রতারণা অভিযোগ। অবশেষে শনিবার সাময়িক সুরাহা। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল জলপাইগুড়ি সাইবার পুলিশ।
মুর্শিদাবাদের চুয়াডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই অভিযুক্তকে। ধৃতের নাম মাসুদ হাসান। অভিযুক্তের বাড়ি থেকে একাধিক ব্য়াঙ্ক পাসবুক, দু’টি ল্যাপটপ ও মোবাইল-সহ আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় এলাকায় নিজেকে ‘ব্যবসায়ী’ বলে পরিচয় দেওয়া মাসুদ এখন কম্বোডিয়া থেকে হওয়া প্রতারণা-কাণ্ডে অভিযুক্ত।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন আগেই! ফালাকাটার অঞ্জলি শীলের বাড়িতে এনআরসির নোটিশ
এদিন জলপাইগুড়ি থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৌভনিক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘যে ইন্টারনেট ঠিকানা বা আইপি অ্যাডড্রেস ব্যবহার করে প্রতারণা চলেছিল তা কম্বোডিয়ার। গোটা ঘটনার সঙ্গে ওই দেশের প্রতারকদের কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা তদন্তসাপেক্ষ। কিন্তু ধৃত মাসুদের এই একটা প্রতারণা চক্র ছিল না। আমাদের ধারণা তার জাল ছড়ানো অনেক দূর।’