Friday, 12 September, 2025
12 September
বাংলা কাউন্টডাউন টাইমার
বঙ্গবার্তা
Homeদক্ষিণবঙ্গBankura: কয়েক ঘণ্টার মনোমালিন্য! দুপুরে তৃণমূলে রাতেই বিজেপিতে; ‘ঘর ওয়াপসি’ বিষ্ণুপুরের ২...

Bankura: কয়েক ঘণ্টার মনোমালিন্য! দুপুরে তৃণমূলে রাতেই বিজেপিতে; ‘ঘর ওয়াপসি’ বিষ্ণুপুরের ২ নেতার

দিনভর চলল শাসক বিরোধী শিবিরের দড়ি টানাটানির খেলা।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

সূর্যকান্ত চৌধুরী, বাঁকুড়া

মাত্র কয়েক ঘণ্টার মনোমালিন্য। দুপুরে দলবদল, আর বিকেলে ফের মন বদলে পুরনো দলে ফেরত! এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল বিষ্ণুপুর। বুধবার দুপুরে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে গিয়ে শাসক দলে যোগদান করেন ২৬০ (এ) কামারকাটা বুথের বিজেপি সদস্য তারাপদ পাল এবং ২৬০ (বি) কামারকাটা বুথের বিজেপি সদস্য গণেশ মল্ল। স্বাভাবিকভাবেই এটা স্পষ্ট হয়ে যায় পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছে বিজেপি। কয়েকঘণ্টায় ভোল বদল।

আরও পড়ুনঃ ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা! অরুণাচল প্রদেশের হিমবাহ গলন

জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা পেরতেই অন্য সুর শোনা যায় গণেশ মল্লর গলায়। ওন্দা ব্লকের রামসাগরে বিজেপির কার্যালয়ে গিয়ে ফের গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন গণেশ। তাঁর দাবি, ভুল বুঝিয়ে, টাকা এবং চাকরির লোভ দেখিয়ে তারাপদ এবং তাঁকে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছিল। যদিও বুধবার দুপুরে দলবদলের সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “মানুষের জন্য কাজ করতে পারছি না, তাই বিজেপি ছেড়ে স্বেচ্ছায় তৃণমূলে এসেছি।” কিন্তু বিজেপির কার্যালয়ে ফিরতেই উলটো সুর শোনা যায় গণেশের গলায়। যদিও বিষ্ণুপুরের আমজনতার দাবি, নাটক করছে বিজেপি।

বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “টাকার টোপ দেখিয়ে দল ভাঙানোই তৃণমূলের সংস্কৃতি। ওন্দা হসপিটাল থেকে জোর করে তারাপদ পাল এবং গণেশকে গাড়িতে করে বিষ্ণুপুরের পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে দলে যোগদান করিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “গনেশ আমাদেরকে বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার সম্পর্কে বলেন। গণেশ জানিয়েছে তিনি বিজেপিতে আছেন এবং বিজেপিতেই থাকবেন। তাই সাংবাদিক সম্মেলন করে বুধবার রাতেই গণেশের হাতে ফের বিজেপির পতাকা তুলে দেওয়া হয়।”

আরও পড়ুনঃ দেশে বিদ্যুৎ পরিষেবায় আমূল পরিবর্তন এসেছে তাঁর হাত ধরে! বন্ধ হয়েছে লোডশেডিং, সেই কুল মানকেই চাইছে নেপাল?

পালটা তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, “কাউকে জোর করে যোগদান করানো হয়নি। তাঁরা নিজেরাই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মানুষের কাজ করতে পারছেন না বলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চান। তাই বুধবার দুপুরে গণেশ এবং তারাপদর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়া হয়।” তিনি আরও বলেন, “গণেশ ও তারাপদ চলে আসায় চিঙ্গানি পঞ্চায়েত আমাদের দখলে চলে আসে। আমাদের কাছে খবর আছে সেই কারণেই অমরনাথ শাখার গুন্ডাবাহিনী ভয় দেখিয়ে ওদের হাতে ফের বিজেপির পতাকা তুলে দিয়েছে।” সুব্রত জানিয়েছেন, “এখন চিঙ্গানি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই পক্ষের হাতেই ছ’টি আসন রয়েছে। আমরা অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছি। অনাস্থার দিনই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।”

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন