সেনা বাহিনীর মঙ্গল ও ভারতের জয় চেয়ে মসজিদে মসজিদে পালন হলো জুম্মার নামাজ আলিপুরদুয়ার জেলার পারোকাটা অঞ্চলে। পারোকাটা ওল্ড মসজিদের ইমাম সাহেব বলেন “বর্তমানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এক চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তান তার দোষী ও কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমাদের দেশের শান্তি ও নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। কিন্তু ভারতবর্ষ একটি জাতি হিসেবে এই কঠিন সময়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে—ধর্ম, বর্ণ, ভাষা নির্বিশেষে আমরা সকলে আজ এক ও অভিন্ন। আমাদের শত্রু একটাই—সন্ত্রাসবাদ এবং তাকে প্রশ্রয়দাতা পাকিস্তান।”
আরও পড়ুন: উরি সেক্টরে শুরু গোলাবর্ষণ, ভারতের মেট্রো স্টেশনগুলো উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
পেহেলগ্রামে পর্যটক সহ বীর শহীদ ঝন্টু আলী শেখ সহ যেসকল সেনা জওয়ানরা দেশের জন্য আত্মোৎসর্গ করেছেন, তাঁদের স্মরণে ও সম্মানে আমরা গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি। তাঁদের জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে আমাদের রক্ষা করেছেন। তাঁদের এই বীরত্ব ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তারপর জুম্মার নামাজ শেষে পারকাটা ওল্ড মসজিদ সহ পারোকাটা অঞ্চলের সকল মসজিদে মসজিদে একত্রিত হয়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া করেছি—যেন আমাদের সেনাবাহিনী আরও শক্তি ও সাহস নিয়ে এই ন্যায়ের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে। তাঁদের জন্য প্রার্থনা করেছি, যেন আল্লাহ তাঁদের হেফাজত করেন, জয় ও সম্মান দান করেন। শহীদদের জন্য দোয়া করেছি, যেন আল্লাহ তাঁদের জান্নাতুল ফিরদাউস দান করেন, এবং তাঁদের পরিবার যেন ধৈর্য ও শান্তি লাভ করে।
আমরা দৃঢ়ভাবে ভারত সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপকে সমর্থন করি। কারণ দেশের স্বার্থে কঠোর সিদ্ধান্তই একমাত্র পথ। ভারতের এই প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান কোনো দেশের বিরুদ্ধে নয়, বরং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। এই সংকটে আমাদের একমাত্র পরিচয়—আমরা ভারতীয়।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) স্পষ্টভাবে বলেছেন:
“হুব্বুল ওয়াতান মিনাল ঈমান”—অর্থাৎ ‘দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।’সুতরাং, আজকের দিনে প্রকৃত ঈমানদার হওয়ার অর্থ—দেশের পক্ষে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে থাকা।
আমরা এদেশের মাটি ও মানুষের জন্য, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার জন্য, আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য, এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আজ শপথ নিচ্ছি—যে কোনো মূল্যে আমরা একসাথে থাকব, একসঙ্গে লড়ব, আর এই দেশের উপর কোনো সন্ত্রাসী ছায়া পড়তে দেব না। কারণ ইতিহাস তাই বলে।