Tuesday, 17 June, 2025
17 June, 2025
Homeদক্ষিণবঙ্গKakdwip: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! বাবা বাংলাদেশের পেনশনভোগী, বাংলাদেশি সৈকত ভারতের সরকারি কর্মী,...

Kakdwip: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! বাবা বাংলাদেশের পেনশনভোগী, বাংলাদেশি সৈকত ভারতের সরকারি কর্মী, হলেন কীভাবে?

এবার ভুয়ো ভোটারকাণ্ডে নাম জড়াল সরকারি কর্মীর। তিনি নামখানা পোস্ট অফিসের ডাককর্মী সৈকত দাস। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

আবারও সেই কাকদ্বীপ। এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। এবার ভুয়ো ভোটারকাণ্ডে নাম জড়াল সরকারি কর্মীর। তিনি নামখানা পোস্ট অফিসের ডাককর্মী সৈকত দাস। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। এদেশে অবৈধভাবে এসেছেন। আর কীভাবে হলেন এদেশের নাগরিক, সে প্রশ্নের যা উত্তর দিলেন সৈকত, শুনলে চমকে উঠবেন!

আরও পড়ুন: স্ত্রীকে ভিডিয়ো কল করে আত্মঘাতী শিলিগুড়ির যুবক

কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা প্রথমেই অভিযোগ করেছিলেন নির্বাচন কমিশনের কাছে। গত নির্বাচনের কাকদ্বীপের তিনটে পঞ্চায়েত, রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ ও প্রতাপাদিত্যনগরের একাধিক বুথে প্রায় ৬ হাজার ভোট বেড়েছে। কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসন তিন জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। সমীক্ষা শুরু করেছে প্রশাসন। তখনই উঠে এসেছে সৈকত দাসের নাম। বছর বত্রিশের এই যুবক আসলে বাংলাদেশের বাসিন্দা। তিনি নামখানা পোস্টঅফিসের সরকারি কর্মচারী। তাঁর বাবা বাংলাদেশের ভোটার। সেখানে শিক্ষকতা করতেন। এখনও বাংলাদেশে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। পেনশন পান বাংলাদেশের থেকেই। বাবা সহদেবের নাম ওঠেনি ভোটার লিস্টে। কিন্তু কীভাবে নাম উঠল তাঁর?

সৈকতকে করা হয়েছিল প্রশ্নটা। দিলেন আজব উত্তর। বললেন, “আমি তো আত্মীয়দের মারফত ভারতের ভোটার হয়েছি।” তখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, “আপনার বাবা তো বাংলাদেশের শিক্ষক?” সৈকত বললেন, “না না, সেটা আমি বলতে পারব না।” আবার তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, “আপনি বলতে পারবেন না, আপনার বাবা শিক্ষক কিনা? কী করেন!” উনি বললেন, “নাহ!” তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, “আপনার কি বার্থ সার্টিফিকেট রয়েছে?” উত্তর, ‘নাহ’। তাঁর জন্মের শংসাপত্র নেই, তাঁর বাবা ভোটার নন, তাহলে তিনি কীভাবে ভারতের নাগরিকত্ব পেলেন? সৈকত ইতঃস্ততভাবে বললেন, “আসলে তখন ওরা ওতো গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখেনি।”

আরও পড়ুন: ইন্টারনেটের স্পিডে উঠবে ঝড়!  সরকারের কাছে অনুমতি চাইলেন আম্বানি

সৈকতের মায়ের আবার আজব দাবি, তিনি বললেন, “এরকম তো অনেকেই রয়েছেন। তাহলে এখন কেন এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে? আমরা তো আর আজ আসিনি, অনেকদিন ধরেই রয়েছি।” যদিও স্থানীয় বাসিন্দা বললেন, “না, ওরা কয়েক বছর হয়েছে এসেছেন। ওর বাবা তো ওই দেশে চাকরি করত। আসা যাওয়া রয়েছে।”

গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বললেন, “এরকম অনেকেরই নাম তুলিয়েছে এখানকার প্রশাসন।” যদিও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের পাল্টা চাপ, “ঢুকলটা কীভাবে? এর জবাব তো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে দিতে হবে!”

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন