তিনি যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানে। লাঠি উঁচিয়ে নেমেছিলেন রাস্তায়। সেই আন্দোলনকারীর নামই এবার দেখা গেল এপার বাংলার ভোটার তালিকায়। কলম দাগিয়ে অভিযোগ তুলল বিজেপি।
এই যত কাণ্ড ঘটেছে বাংলার কাকদ্বীপে। আর যাকে নিয়ে উত্তেজনা তার নাম নিউটন দাস। তিনি কাকদ্বীপের স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসপাড়ার বাসিন্দা। এপার বাংলায় সর্বপ্রথম পা দিয়েছিলেন নিউটনের দাদা তপন দাস। ২০১১ সালে বাংলায় এসে পরবর্তী ভোটার তালিকায় নিজের নাম তোলে সে।
আরও পড়ুন: বোলপুর এখন তোলাপুর! হেনস্থা জওয়ানকেও! পুরসভার নাম করে তোলাবাজির অভিযোগ কেষ্ট ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে
পরবর্তীকালে দাদার পিছু পিছু বাংলায় ঢুকে পড়েন নিউটন, এমনটাই অভিযোগ। কাকদ্বীপেরই নামখানা এলাকার একটি স্কুলে পড়াশোনা করেছে সে। সম্প্রতি সেই নিউটনের ছবি আবার ভাইরাল হল সমাজমাধ্যমে। সেই ছবিতে দেখা গেল, বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন নিউটন। তবে কি পড়াশোনা শেষ করেই আবার নিজ দেশে চলে গিয়েছে সে?
ছবি কিছুটা সেই ইঙ্গিত দিলেও, ভোটার তালিকা দিচ্ছে না। কারণ, নিউটনের নাম উঠেছে চলতি বছরের ভোটার তালিকাতেও। এমনকি, সুন্দরবনের সংগঠনিক জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি দেবাশিষ দাসের সঙ্গেও নানা ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে এই ‘বাংলাদেশি’ নিউটনকে। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে নিউটনের জন্মদিন পালন করছেন সেই শাসকদলের ছাত্র পরিষদের নেতা।
নিউটনের দাদা তপন দাস জানিয়েছে, ‘চার বছর হল যোগাযোগ নেই। ও এখানে থাকে না। এই বাংলায় পড়াশোনা করতে এসেছিল, তারপর আবার বাংলাদেশে চলে যায়। ও বাংলাদেশেরই ভোটার। কিন্তু এখানে কে কীভাবে ওকে ভোটার করা হয়েছে তা আমি জানি না। অনেক বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে চলাফেরা করত।’
আরও পড়ুন: ১৮ দিনের লড়াই শেষ; পর্যটকের মারে মৃত্যু দিঘার হোটেল মালিকের
এই প্রসঙ্গে কাকদ্বীপের বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, শাসক-ঘনিষ্ঠতাকে হাতিয়ার করেই নিউটন ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছে। অন্যদিকে, নাম জড়ানো তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা দেবাশিষ দাস এই প্রসঙ্গে বিশেষ কিছু মন্তব্য না করলেও, তার দাবি, নিউটন ছোট থেকে তার সঙ্গে পড়াশোনা করেছে। ওরা এক সঙ্গেই বড় হয়েছে।