Tuesday, 14 October, 2025
14 October
Homeদক্ষিণবঙ্গKhardah: খড়দহ-কাণ্ডে নয়া মোড়! স্কুটির সিটের নীচেই চলত কারবার, দুপুর হলেই যাতায়াত...

Khardah: খড়দহ-কাণ্ডে নয়া মোড়! স্কুটির সিটের নীচেই চলত কারবার, দুপুর হলেই যাতায়াত করতেন মহিলারা

সোমবার খড়দহের রিজেন্ট পার্কে একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

দেশীয় নয়, মধুসূদনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া হাজার পিস কার্তুজ ও রিভলভারের প্রত্যেকটিই ফ্যাক্টরি মেড। অর্থাৎ অস্ত্র লাইসেন্স থাকলে যে অস্ত্র কেনা যায়, সেই অস্ত্রই মিলেছে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের এই ফ্ল্যাট থেকে। কী করে ওই অস্ত্রগুলি এল মধুসূদনের কাছে? চলছে তদন্ত। সোমবার খড়দহের রিজেন্ট পার্কে একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। অভিজাত আবাসনের ভিতর কোথা থেকে এল ওই অস্ত্র, কী কারণে মজুত করা হয়েছিল, প্রশ্ন উঠেছে।

আরও পড়ুনঃ পুত্রদা একাদশীতে ইন্দ্র যোগ, কর্মক্ষেত্রে গোপন শত্রুর জন্য উন্নতিতে বাধা

ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ মনে করছে, মধুসূদনের সঙ্গে আর্মস ডিলারদের যোগাযোগ রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিজের স্কুটিতে করেই অস্ত্র ও কার্তুজ ফ্ল্যাটে নিয়ে আসতেন মধুসূদন। ডেলিভারিও করতেন তিনি নিজেই। স্কুটির সিটের নীচেই অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করতেন মধুসূদন।

স্থানীয় বাসিন্দারা আরও দাবি করেছেন, মধুসূদনের বাড়িতে দুপুরে মহিলারাও যাতায়াত করতেন। তাঁদের মাধ্যমেও অস্ত্র আনা-নেওয়া চলত বলেই পুলিশ মনে করছে। সেই কারণেই কি অস্ত্র কারবার সম্পর্কে কিছু আঁচই করতে পারেননি প্রতিবেশীরা!

মহিলাদের যাতায়াত প্রসঙ্গে মধুসূদন দাবি করতেন যে তাঁরা কেউ বাড়ির কাজের মহিলা, কেউ বা রান্নার লোক। কিন্তু কিছুদিন পরপর সেই মহিলারা বদলে যেতেন! ঘটনার পর প্রতিমা মঞ্জিলের আবাসিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁকে আর কখনই এই ফ্ল্যাটে থাকতে দেওয়া হবে না। সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবাসনে প্রবেশের প্রত্যেক গেটের তালাও বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ভারতের উপর আরও শুল্ক বাড়ানোর হুঁশিয়ারি; সহ্যের যে সীমা থাকে, ট্রাম্পকে বুঝিয়ে দিল নয়াদিল্লি

মধুসূদন পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছে যে সুদে টাকা খাটানোর ব্যবসা ছিল তাঁর। সুদের ব্যবসার লাভের টাকা দিয়েই অস্ত্র কারবারে নামেন এই প্রৌঢ়। জেরায় মধুসূদনের আরও দাবি, পুরনো মুদ্রা জমানোর শখ ছিল তাঁর। পাশাপাশি বিক্রিও করতেন। নিজের বেআইনি কারবার জানাজানি হওয়ার ভয়ে কোনও জায়গায় সেভাবে বসবাস করতেন না মধুসূদন, এমনটাই মনে করছে পুলিশ। আগে সোদপুরে থাকতেন তিনি, তারপর পানিহাটি, তারপর খড়দহে ফ্ল্যাট কেনেন। কোনও জায়গাতেই চার থেকে পাঁচ বছরের বেশি থাকতেন না তিনি।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন