Saturday, 13 September, 2025
13 September
বাংলা কাউন্টডাউন টাইমার
বঙ্গবার্তা
HomeকলকাতাKMC: ১৪ দিনের মধ্যে জনগণের জন্য খুলে দিতে হবে  দুর্গাপুজোর জন্য ব্যবহৃত...

KMC: ১৪ দিনের মধ্যে জনগণের জন্য খুলে দিতে হবে  দুর্গাপুজোর জন্য ব্যবহৃত পার্ক; নির্দেশ পুরসভার

দুর্গাপুজোর জন্য ব্যবহৃত পার্কগুলি বিজয়া দশমীর পর সর্বোচ্চ ১৪ দিনের মধ্যে জনগণের জন্য খুলে দিতে হবে।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

শারদোৎসব শেষ হওয়ার পরও প্রায় মাসখানেক ধরে শহরের একাধিক পার্ক সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ থেকে যায়। কারণ, সেই সব পার্কে তৈরি মণ্ডপের কাঠামো খুলতে পুজো কমিটিগুলি দীর্ঘসূত্রিতা করে বলেই অভিযোগ। ফলে সমস্যায় পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভোরে প্রবীণদের হাঁটাহাঁটি থেকে শুরু করে শিশুদের খেলা কিংবা প্রবীণদের বসার জায়গা— সব কিছুই আটকে যায় মণ্ডপের বাঁশের কাঠামো থেকে যাওয়ার কারণে। এ বার সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে উদ্যোগী হল কলকাতা পুরসভা।

আরও পড়ুনঃ লক্ষ্য দুর্গাপুজো, ক্লাবগুলোকে আলাদা করে চাঁদা দেবে কোচবিহারের তৃণমূল

পুরসভার তরফে পুজো কমিটিগুলিকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দুর্গাপুজোর জন্য ব্যবহৃত পার্কগুলি বিজয়া দশমীর পর সর্বোচ্চ ১৪ দিনের মধ্যে জনগণের জন্য খুলে দিতে হবে। পার্কে পুজো আয়োজনের অনুমতি দেওয়ার সময় থেকেই এই শর্ত আরোপ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পুরসভার এক আধিকারিক। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে, বহু পার্ক দীর্ঘদিন ধরে দখল অবস্থায় থেকেছে। এর জেরে বারবার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়েরা। এ বার সেই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার। মৌখিক নির্দেশ জারি করে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও পার্কে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ তৈরি হলে, বিজয়া দশমীর পর ১৪ দিনের মধ্যে মণ্ডপের কাঠামো খুলে ফেলতে হবে।

উত্তর কলকাতার জগৎ মুখার্জি পার্ক, কুমারটুলি পার্ক এবং দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক, খিদিরপুর ২৫ পল্লী, সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার, প্রতাপাদিত্য রোড ত্রিকোণ পার্কে মণ্ডপের বাঁশের কাঠামো বেশি দিন থেকে যায় বলে অভিযোগ। যে কারণে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার ব্যাহত হয়। নিয়ম মেনে দুর্গাপূজা শেষে দ্রুত পার্ক পুনরুদ্ধার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়েরা। এই পরিস্থিতিতে পুরসভা এ বার কঠোর পদক্ষেপ করছে। যারা সময়মতো পার্ক খালি করতে ব্যর্থ হবে, তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা আরোপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এমনকি প্রয়োজনে পুরসভা নিজেই কাঠামো ভেঙে সরিয়ে ফেলবে এবং তার খরচ আয়োজকদের বহন করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ জারি সুনামির সতর্কতা; ৭.৪ মাত্রার জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাশিয়া

পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস বলেছেন, “পার্ক সাধারণ মানুষের সম্পদ। পুজো করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, তবে শর্ত মেনে সময়মতো পার্ক ফেরাতে হবে। নিয়ম না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর পর বিভিন্ন পার্কে কালীপুজোও হয়। দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল খোলা না হলে, কালীপুজোর প্রস্তুতিও ধাক্কা খেতে পারে। এই সব বিষয় মাথায় রেখেই দু’সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে।’’

নাগরিকদের একাংশের দাবি, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে প্রবীণ নাগরিকদের পাশাপাশি শিশুদেরও সুবিধা হবে। কারণ, উৎসবশেষে কলকাতার মতো শহরে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে পার্কের প্রয়োজন অপরিসীম। কেবল উৎসব নয়, সারা বছরই পার্ক বয়স্ক থেকে শিশু সকলের জন্যই অপরিহার্য। তাই মেয়র পারিষদের মৌখিক এই নির্দেশ সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেবে বলেই মত স্থানীয়দের। প্রসঙ্গত, মেয়র পারিষদ দেবাশিসও দক্ষিণ কলকাতার খ্যাতনামা পুজো কমিটি ত্রিধারা সম্মেলনীর সঙ্গে যুক্ত। যদিও তাঁর পুজো কোনও পার্কে নয়, সরকারি অনুমতি নিয়ে আয়োজিত হয় রাস্তার উপরেই। সে ক্ষেত্রে দেবাশিস পুজো শেষ হওয়ার সাত দিনের মধ্যেই মণ্ডপ খোলার কাজ সম্পন্ন করে রাস্তা ফাঁকা করে দেন।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন