Sunday, 3 August, 2025
3 August, 25
HomeকলকাতাLand Subsidence: ডুবছে কলকাতা! সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ভাটপাড়ার!

Land Subsidence: ডুবছে কলকাতা! সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ভাটপাড়ার!

সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ভাটপাড়ার। প্রতি বছর প্রায় আড়াই সেন্টিমিটার এলাকা একটু একটু করে চলে যাচ্ছে জলের নিচে।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

আজ থেকে ২২ বছর আগেও এরনা যখন তাঁর বাড়ির বাইরে এসে দাঁড়াতেন, জানালাগুলি প্রায় বুক সমান উঁচু ছিল। কিন্তু আজ তিনি যখন দেখেন তাঁর বাড়ির জানালাগুলি হাঁটুর কাছে এসে দাঁড়িয়েছে, তখন ভয়ে রাতে ঘুম আসে না ৩৭ বছরের এই মহিলার। এরনা থাকেন ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায়। যে শহর বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম শহর হিসাবে ডুবে যাচ্ছে ক্রমশ। যে রাস্তায় ছোটবেলায় খেলতেন, যে মসজিদে নমাজ পড়তেন- বহু আগেই সে সব ডুবে গেছে। ১৯৭০-এ তাঁর বাড়িটি তৈরি হয়েছিল, আজ প্রায় গোটা একতলা জলে ডুবতে বসেছে, কিন্তু পয়সার অভাবে এখনই বাড়ি পাল্টানোর সাধ্য নেই এরনার।

এই সমস্যা একা জাকার্তার নয়! সিঙ্গাপুরের ন্যাংইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার উপকূলবর্তী এলাকার অন্তত ৪৮টি শহর নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে অনেক দ্রুত ডুবে যাচ্ছে জলের তলায়। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা চিনের তিয়ানজিন শহরের। ২০১৪-২০২০-র মধ্যে এই চিনা শহর প্রতি বছর প্রায় ১৮.৭ সেন্টিমিটার করে জলে তলিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: শিমলার হাসপাতালে সনিয়া, বেড়াতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ

NTU-র তথ্যে ভয় ধরাচ্ছে আমাদের কলকাতা শহরের অবস্থাও। ২০১৪ থেকে ২০২০-র মধ্যে প্রতি বছর ০.০১ সেন্টিমিটার থেকে ২.৮ সেন্টিমিটার করে ডুবে যাচ্ছে আমাদের প্রাণের শহর। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ভাটপাড়ার। প্রতি বছর প্রায় আড়াই সেন্টিমিটার এলাকা একটু একটু করে চলে যাচ্ছে জলের নিচে। প্রায় এক কোটি মানুষ এই সব এলাকায় বাস করেন। বিকল্প বাসস্থানের বন্দোবস্ত না করলে ভবিষ্যতে এই মানুষদের গৃহহীন হতে হবে জার্কাতার মানুষের মতোই, আশঙ্কা সিঙ্গাপুরের সংস্থার রিপোর্টে।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এর মূল কারণ, কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই ভূগর্ভস্থ জল অত্যাধিক খরচের প্রবণতা। এছাড়াও নতুন বাড়ি-ফ্ল্যাট তৈরি, অবৈজ্ঞানিক উপায়ে খনিজ উত্তোলন, ভূমিক্ষয়ের জন্যও এইসব এলাকার জমি জলের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এখানকার মানুষদের শুধু এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে তাই না, বাড়বে ভূমিকম্পের প্রবণতাও। গবেষকরা বলছেন, জনবিস্ফোরণের জন্য গৃহস্ত বাড়িতে জলের ব্যবহার বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাটির নিচ থেকে জল তোলার প্রবণতা। ৪৮টি শহরের মধ্যে অন্তত অর্ধেক শহর দ্রুত ডুবছে শুধুমাত্র এই কারণে। ভূগর্ভস্থ জল ক্রমশ কমতে থাকায় মাটি আরও বসে যাচ্ছে এবং এই শহরগুলি দ্রুত তলিয়ে যাচ্ছে জলের নিচে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কোটা-আন্দোলনে লাঠি উঁচিয়ে যোগ দেওয়া নিউটন কাকদ্বীপেরও ভোটার! রয়েছে তৃণমূল-ঘনিষ্ঠতা

কলকাতা ছাড়াও ভারতীয় শহরের মধ্যে ‘বিপজ্জনক’ শহরের তালিকায় রয়েছে চেন্নাই, আহমেদাবাদ, মুম্বই ও সুরাট। চেন্নাইয়ের কয়েকটি এলাকা প্রতি বছর প্রায় ৪ সেন্টিমিটার করে তলিয়ে যাচ্ছে। দেড় কোটি মানুষ নিজেদের বাড়ি-জমি হারাবেন ভবিষ্যতে। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আহমেদাবাদের। প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটারেরও বেশি জমি তলিয়ে যাচ্ছে সমুদ্রে। ভবিষ্যতে ৫০ লক্ষ মানুষকে নিজের বাড়ি-ঘর ছাড়তে হতে পারে। গবেষকদের বক্তব্য, দ্রুত স্থানীয় সরকার জলের জন্য বিকল্প উৎসের খোঁজ শুরু না করলে বা বৃষ্টির জল ধরে রাখার মতো প্রকল্পে গুরুত্ব না দিলে ভবিষতে হো চি মিন বা জাকার্তার মতো শহর জলের তলায় চিরতরে ডুবে যাবে। অন্যদিকে, আশা জাগাচ্ছে জাপানের টোকিওর মতো শহর। তালিকায় একসময় এই শহরের নাম থাকলেও শুধুমাত্র মাটির নিচ থেকে জল তোলায় কড়া নিয়মকানুন লাগু করায় জাপান এই বিপদ এড়াতে পেরেছে। ভবিষ্যতে টোকিও-কে মডেল করে বাকি শহরগুলিএ এগোনো উচিত বলে বক্তব্য গবেষকদের।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন