Saturday, 2 August, 2025
2 August, 25
HomeকলকাতাWest Bengal Assembly: চা বাগান ধ্বংসের অভিযোগ বিজেপির, মন্ত্রীর পাল্টা চ্যালেঞ্জ, 'প্রমাণ...

West Bengal Assembly: চা বাগান ধ্বংসের অভিযোগ বিজেপির, মন্ত্রীর পাল্টা চ্যালেঞ্জ, ‘প্রমাণ দিন’

এখন দেখার চা বাগান ধ্বংস প্রসঙ্গে বিজেপির অভিযোগ এবং মন্ত্রীর আশ্বাস, আগামিতে কোনও সমাধান মেলে কিনা।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:

উত্তরবঙ্গে চা বাগান ধ্বংসের অভিযোগ ঘিরে শুক্রবার তীব্র রাজনৈতিক তরজা বেঁধে গেল বিধানসভায়।

শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক ও পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ সরাসরি অভিযোগ তুললেন, “রাজ্য সরকার চা বাগান রক্ষা তো করছেই না, বরং আইনভঙ্গ করে জমি বিক্রি করছে”। পাল্টা শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বললেন, “প্রমাণ দিন, ব্যবস্থা নেব।”

দৃষ্টি আকর্ষণী (কলিং অ্যাটেনশন) পর্বে এদিন বিজেপি বিধায় শঙ্কর বলেন, কোচবিহারের তুফানগঞ্জের রসিকবিল সংলগ্ন  চা বাগানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসী পরিবারগুলো চা চাষের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু এখন সেই চা বাগান বুলডোজার চালিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। বিজেপি বিধায়কের দাবি, “এই বাগান আদিবাসীদের জীবন ও জীবিকার অন্যতম ভরসা। এখন সরকার নিজেই এই বাগান ধ্বংস করছে।”

আরও পড়ুন: ‘দেউলিয়া’ প্রতিষ্ঠান! অথৈ জলে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠনপাঠন

বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “আপনার কাছে যদি কোনও ভিডিও বা নথি থাকে, আমার কাছে পাঠিয়ে দিন। আমি দেখছি এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।” তিনি আরও বলেন, “আপনার কাছে আমার ফোন নম্বর রয়েছে, আপনি ভিডিও পাঠান।”

মন্ত্রী আরও দাবি করেন, “২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই চা শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। আগে যেখানে দৈনিক মজুরি ছিল ৬৭ টাকা, তা এখন বেড়ে হয়েছে ২৫০ টাকা। ‘চা সুন্দরী’ প্রকল্প ছাড়াও, শ্রমিকদের প্রত্যেক পরিবারকে বিনামূল্যে ৩৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়।”

আরও পড়ুন: পুজো পর্যন্ত টিকিটে ২৫ শতাংশ ছাড়, বড় সুযোগ দিচ্ছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম

বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “অসমে বিজেপি সরকার চা শ্রমিকদের মাত্র ২০ কেজি চাল দেয়, তাও প্রতি কেজি ৯ টাকায় কিনতে হয়।”

তবে পাল্টা বিজেপি বিধায়ক শঙকর ঘোষ বলেন, “২০২২ সালেও একটি চা বাগান ধ্বংসের অভিযোগ করেছিলাম। সেই সময়ও সমস্ত প্রমাণসহ জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিন বছর কেটে গেলেও মন্ত্রী কোনও পদক্ষেপ নেননি।”

এখন দেখার চা বাগান ধ্বংস প্রসঙ্গে বিজেপির অভিযোগ এবং মন্ত্রীর আশ্বাস, আগামিতে কোনও সমাধান মেলে কিনা।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন