যেন সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত ছবি ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’-এর সেই অতি বিখ্যাত ক্লাইম্যাক্স। মগনলাল মেঘরাজকে ধরতে ফেলুদা সেজেছিলেন মছলি বাবা। আর সেই নকল বাবাজিই শেষপর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে বমাল ধরে ফেলেন খলনায়ক মগনলালকে। বৃহস্পতিবার শোভাবাজারের ফেরিঘাট যেন দেখল তেমনই এক ‘সিনেমা’। তবে এখানে বিষয়টা হল উলটো। দুই সাধুবাবাকে ধরতে ভক্তের বেশ ধরলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। আর তাতেই এল সাফল্য!
আরও পড়ুন: তিনি ‘ডাক্তার’, রেজিস্ট্রেশন ফিরে পেতে হাইকোর্টে শান্তনু
ব্যাপারটা কী? ওই দুই সাধুবাবার অপরাধ কী? অভিযোগ, আসলে তাঁরা সাধু সেজে হিমাচলের দামি চরস পাচার করতেন। গঙ্গার ঘাটে বসে ধ্যানে মগ্ন থাকতেন দুই সাধুবাবা। বিশেষ কেউ সামনে এলেই এক সাধুবাবার চোখ অল্প খুলে যেত। সেই ব্যক্তি হাত জোড় করলেই তাঁর হাতে উঠে আসত ‘সাধুবাবার প্রসাদ’। আসলে প্রসাদ নয়। চরস! খবর নিশ্চিত হতেই ‘ফাঁদ’ পাতেন তদন্তকারীরা।এমনটাই দাবি।
আরও পড়ুন: দাঁড়াল কালো গাড়ি! কোচবিহারে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা
এদিন শোভাবাজার ফেরিঘাটে তল্লাশি চালায় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের নারকোটিক শাখা। প্রায় দশ লক্ষ টাকা মূল্যের ৫৫০ গ্রাম হিমাচলের চরস উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। দুই জাল সাধুবাবা বউবাজারের বাসিন্দা শিবশঙ্কর ওঝা ও বড়বাজারের বাসিন্দা অর্পণ মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয় বলেও জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তরা শোভাবাজার ছাড়াও অন্যান্য গঙ্গাঘাটে বসে একই কায়দায় চরস চালান করত বলেই দাবি।