১০ শ্রমিক সংগঠনের ডাকা বনধে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি রাজ্যের নানাদিকে। হুগলি, ইছাপুরে চলল রেল অবরোধ। ঘাটালে আবার পুলিশের সঙ্গে বচসা দেখা যায় অবরোধকারীদের। বীরভূমে টায়ার জ্বালিয়ে চলল প্রতিবাদ। বারাসত, পুরশুড়াতেও রাস্তা আটকে চলল বিক্ষোভ। অন্যদিকে অশান্তির ছবি উত্তরবঙ্গেও। বাস আটকে গ্রেফতার জলপাইগুড়িতে। তবে সকালেই ব্যাপক অশান্তির ছবি দেখা গেল যাদবপুরে। ৮বি বাসস্ট্যান্ডের কাছে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করতে দেখা গেল ধর্মঘটীদের। রেল অবরোধেরও চেষ্টা করেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা।
আরও পড়ুন: গাড়িচালকের মাথায় হেলমেট, শুনশান রাস্তা; বনধের আংশিক প্রভাব
সকালেই যাদবপুর স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে মিছিল করে আসতে দেখা যায় প্রচুর বাম কর্মী-সমর্থকদের। তারপর সেখান থেকে দুনম্বর প্ল্যাটফর্মে চলে যান। ওঠে স্লোগান। তাঁদের সাফ কথা, যে ন্যূনতম মজুরির কথা বারবার বলার পরেও কেন্দ্রীয় সরকার তাতে কোনওরকম আমল দেয়নি। উল্টে নতুন শ্রমকোড এসে গিয়েছে। শ্রমিক সংগঠনগুলির স্পষ্ট দাবি, নতুন শ্রম কোড বাতিল করতে হবে। দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরি ও ২৬,০০০ টাকা ন্যূনতম মাসিক বেতন নিশ্চিত করতে হবে। সে কারণেই তাঁরা ধর্মঘটে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে সকাল থেকেই তৎপর ছিল পুলিশ।
আরও পড়ুন: ছুটি নিলেই কড়া অ্যাকশন নবান্নর, কলকাতার কোণায় কোণায় লালবাজারের পুলিশ
অন্যদিকে হুগলিতেও একই ছবি। হাওড়াগামী ব্য়ান্ডেল লোকালের সামনেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। অন্যদিকে ইছাপুরেও একই ছবি। বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। শেষে পুলিশের তৎপরতায় ওঠে অবরোধ। অন্যদিকে সাতসকালেই তারকেশ্বরের তালপুর স্টেশনে তারকেশ্বর- আরামবাগ ট্রেন অবরোধ করে বামেদের কৃষক ক্ষেত মজুর সংগঠন। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলে ট্রেন অবরোধ।