বামেদের ডাকা বন্ধেও বুধবার স্বাভাবিক ছন্দেই তিলোত্তমা। টানা বৃষ্টির জেরে আর পাঁচদিনের তুলনায় রাস্তায় লোকজন খানিকটা কম। তবে বন্ধের কার্যত কোনও প্রভাবই পড়ল না। দু-এক জায়গায় সামান্য অশান্তি হলেও ট্রেন, বাস, অটো সব চলছে অন্যান্যদিনের মতোই।
আরও পড়ুন: বনধে অচল কেবলমাত্র কেরল, সচল বাকি ভারত
নয়া শ্রম আইন বাতিল-সহ ১৭ দফা দাবিতে বুধবার বন্ধের ডাক দিয়েছিল বামেদের শ্রমিক সংগঠন। স্বাভাবিকভাবেই সকাল থেকেই পথে নামেন ধর্মঘট সমর্থকরা। কিন্তু পতাকা নিয়ে পথে নেমেও ‘হুল’ ফোটাতে পারলেন না বামেরা। এদিন সকাল থেকেই একেবারেই স্বাভাবিক তিলোত্তমা। যাদবপুরে সামান্য অশান্তি হলেও কেউ ঘরবন্দি থাকেননি। স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে বেরিয়েছেন সকলেই। ট্রেন, বাস, অটোয় পৌঁছেছেন গন্তব্যে। স্কুল-কলেজ-অফিস সর্বত্র উপস্থিতির হার নজরে পড়ার মতো।
বাম আমলে শাসকদলের ডাকা ধর্মঘটে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যেত বাংলা। পথঘাট কার্যত জনমানবহীন হয়ে যেত। কিন্তু এদিনের বন্ধ প্রমাণ করে দিল যে, লালপার্টির ‘অপসংস্কৃতি’তে সায় নেই কারও। কলকাতার এক বাসিন্দার কথায়, “টানা বৃষ্টিতে একাধিক এলাকা জলমগ্ন। ফলে অটো একটু কম চলছে। তবে বাস বা অন্য কোনও গাড়ি পেতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। অন্যান্যদিনের মতোই সব পেয়েছি। কোনও সমস্যা হয়নি।”
আরও পড়ুন: সিপিএম নেতাকে চড় থানার আইসি-র! বুনিয়াদপুরে প্রবল উত্তেজনা
তবে কলকাতায় একেবারে প্রভাব না পড়লেও জেলায় জেলায় খানিকটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে বাসিন্দাদের। কোথাও রেল লাইন আটকে দেন ধর্মঘটীরা, কোথাও আবার বাস আটকে দেওয়া হয়। ফলে গন্তব্যে পৌঁছতে গিয়ে খানিকটা বিপাকে পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। এবিষয়ে শ্যামনগরের বাসিন্দা স্বপন দাস বলেন, “সকালে ট্রেনে ওঠার সময় জানতে পারি সামনে অবরোধ রয়েছে। একাধিক স্টেশনে পরপর ট্রেন দাঁড়িয়ে। আমাদের ট্রেন প্রায় ২৫ মিনিট পরে ছাড়ে। মাঝেও একাধিকবার ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। ফলে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছতে অনেকটা দেরি হয়।” গোটা ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ তিনি। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই অশান্তি মিটে যায়। বেলা বাড়তেই একেবারে স্বাভাবিক ট্রেন, বাস পরিষেবা। ধর্মঘটের বিন্দুমাত্র প্রভাবও নজরে পড়ছে না।