কুশল দাশগুপ্ত:
ডোনা সরকার শিলিগুড়ির আশ্রমপাড়া নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, ৩০ বছর ধরে আঁকা শিখিয়ে চলেছেন তিনি। জানালেন আঁকা আমার প্রথম ভালবাসা। আমি প্রথমে কলকাতা থেকেই আমার শিক্ষকতা শুরু করেছিলাম, এরপর বিবাহ সূত্রে আমি শিলিগুড়ি চলে আসি, আর এখান থেকেই শুরু করি আমার নতুন পরিচয় তৈরি করা। কারণ আঁকা মানুষের মনকে প্রসারিত করে।
আরও পড়ুন: Siliguri: বিষাক্ত স্যালাইনে মৃত্যু , উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিধায়ক শংকর ঘোষ
এই যে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের আমি আকা শেখাই এটাও আমি নিজে আনন্দ পাওয়ার জন্য করি। আমার কাছ থেকে আঁকা শিখে আমার ছাত্র-ছাত্রীরা আঁকা শেখাচ্ছে কাউকে এটা আমার মনে একটা আলাদা অনুভূতি। আমি জানি বর্তমান যুগে সময় বের করে বাবা মায়ের তাদের সন্তানকে আকা শেখানোটা প্রচন্ড কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও আমি দাবি করে বলতে পারি” রং এবং তুলি” কে যে ভালোবেসে ফেলেছে তার মন সারা জীবনই ভালোবাসায় ভরে থাকবে। কেউ আঁকা শিখে প্রতিষ্ঠিত হলে সে যে আরো দশ জনকে আঁকা শেখাবে এখানেই আমার জয় লুকিয়ে থাকবে। জানালেন ডোনা সরকার আমি আঁকা শেখাচ্ছি বছর ধরে, ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের মধ্য আমি আমার প্রথম দিককার ডোনা সরকারকে দেখতে পাই। জানালেন তিনি, আঁকা শিখে তার প্রাপ্তির ভান্ডার অনেকটাই বেড়ে গেছে, তিনি জানালেন।
আরও পড়ুন: Siliguri: “টক টু মেয়র” আজ ১০০ তম পর্ব, একের পর এক উত্তর দিচ্ছেন শিলিগুড়ির বাদশা গৌতম
আমার পরিচয়, আমার ভালোবাসা সবই লুকিয়ে আছে এই আকা শেখানোর মধ্য দিয়ে জানালেন তিনি। সংসার সামলে আমি আকা শেখাচ্ছি, আমার এখান থেকে ছেলেমেয়েরা বের হয়ে ভালো ভালো জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে এটাও কি কম পুরস্কার আমার কাছে, জানালেন ডোনা সরকার। শিলিগুড়ির মতো বাণিজ্যিক শহরে, ভাবতে অবাক লাগে এত আগ্রহী ছাত্রছাত্রী আছে, যারা আকা শিখতে পছন্দ করে। আমি তাদের মধ্য থেকে বের করে আনছি, প্রতিভাবানদের এটাও আমার কাছে চরম পাওনা, জানালেন ডোনা সরকার।