কালকের মধ্যেই অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ হতে পারে, সুপ্রিম কোর্টে জানালেন এসএসসি-র আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর, নির্ধারিত তারিখেই হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা। শুক্রবার এই মর্মে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, যেসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে বা যাঁরা ইতিমধ্যেই অযোগ্য বা ‘দাগি’ ঘোষিত, তাঁদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া যাবে না। আর এই বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব এসএসসি কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।
শুক্রবার সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, “যাঁরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি করছেন, তাঁরা নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ, দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই অংশ নিতে পারবেন।” কমিশন সওয়াল করে, কেউ যদি ইতিমধ্যে আবেদনপত্র দাখিল করেন, সে ক্ষেত্রে তিনিও ‘অযোগ্য’ বলে বিবেচিত হবেন। এর পরই সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়, কোনও ‘দাগি’ প্রার্থী যেন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুনঃ এবার কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের বাড়িতে হানা সিবিআই-এর, সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান
এদিন শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে অযোগ্য ঘোষিত প্রার্থীদের সংখ্যা জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। এসএসসি জানায়, সেই তালিকায় রয়েছেন প্রায় ১,৯০০ জন। শুনানির সময় আন্দোলনকারী নেতা চিন্ময় মণ্ডল বক্তব্য রাখতে চাইলে তাঁকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করে আদালত। বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা স্পষ্টভাবে বলেন, “আপনি কোনও আলাদা মামলা দায়ের করেছেন? যদি না করে থাকেন, তবে পিছনে গিয়ে বসুন। এটা কোনও জনসমাবেশের মঞ্চ নয়।” একই সঙ্গে বেঞ্চের মন্তব্য, একজনও অযোগ্য প্রার্থী পরীক্ষায় বসতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবারই কমিশনের তরফে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। এর আগে সম্ভাব্য তারিখ জানিয়ে রাজ্যের জেলাশাসক ও ডিআইদের প্রস্তুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের শুক্রবারের নির্দেশে পরীক্ষার সময়সূচি নিয়ে আর কোনও দ্বিধা রইল না।
আরও পড়ুনঃ শুধু টেলিকম নয়! যুগের তালে তাল মিলিয়ে নতুন ব্যবসা শুরু BSNL-র
আগের নির্দেশ মেনে এসএসসি আবেদনের সময়সীমা ১০ দিন বাড়ায়। কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড শুরু হবে ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা থেকে। যদিও কোর্ট পরীক্ষা পিছনোর পরামর্শ দিয়েছিল, পুজোর ছুটির কারণে আর অন্য কোনও তারিখ পাওয়া সম্ভব হয়নি। এর পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
রাজ্যের দুই স্তরে মিলিয়ে প্রায় ৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী বসবেন এই পরীক্ষায়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রার্থীদের মধ্যে প্রস্তুতি এবং উৎকণ্ঠা দুই-ই এখন চরমে।