দিনে ছাতু বিক্রেতা, আর দিনের আলো ঘুচলেই বাড়িতে বসত মধুচক্রের আসর! দিন কয়েক ধরে এসব কুকীর্তি চোখে পড়ছিল গ্রামবাসীদের। বৃহস্পতিবার রাতে তা নিয়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল বারাসতের দেগঙ্গার তেঁতুলতলায়। যদিও বাড়ির মালিকের দাবি, ওই ছাতু বিক্রেতারা বিহারের বাসিন্দা। কাজের সন্ধানেই তাঁরা এসেছেন। কোনও অবৈধ কার্যকলাপ হয় না তাঁর বাড়িতে।
আরও পড়ুন: প্রয়াত ‘কাঁটা লাগা’ গার্ল শেফালি জরিওয়ালা
দেগঙ্গার হাদিপুরের তেঁতুলতলা এলাকা। সেখানে কিছুদিন আগে বিহারের তিন যুবক ভাড়া নেন। জানান, তাঁরা ছাতু বিক্রি করে কর্মসংস্থান করবেন। সেইমতো দিনে তাঁরা এলাকায় ঘুরে ঘুরে ছাতু বিক্রি করতেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সন্ধ্যা নামলেই সেই বাড়িতে যুবক, যুবতীরা ভিড় করে, বসে মধুচক্রের আসর। বৃহস্পতিবার রাতে এই অভিযোগ তুলে সরব হন গ্রামবাসীরা। সেসময়ই বাঁধে ধুন্ধুমার। অভিযোগ, ওই বিহারি যুবকরা গ্রামবাসীদের উপর অতর্কিতে আক্রমণ করে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে জখম হন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
আরও পড়ুন: কসবার ছাত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষায় মিলল ধর্ষণের প্রমাণ, কামড় ও আঁচড়ের দাগও স্পষ্ট
খবর পৌঁছয় দেগঙ্গা থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ থামায়। বিবদমান দু’পক্ষকে উদ্ধার করে। ভিনরাজ্যের তিন যুবককে নিরাপত্তা দেয়। যদিও মধুচক্রের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বাড়ির মালিক। তাঁর দাবি, ছাতু ব্যবসায়ীরা নিজেরাই থাকেন তাঁর বাড়িতে। বাইরে থেকে কেউ সেখানে আসে না। পুলিশ জানিয়েছে, কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি থানায়। স্থানীয়দের সঙ্গে ওই ভাড়াটিয়াদের কিছুদিন ধরে বনিবনা হচ্ছিল না। সেই কারণেই এই সংঘর্ষ বলে অনুমান পুলিশের। অশান্তি এড়াতে আপাতত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভাড়াটিয়া যুবকরা। তবে পুলিশ তাঁদের সুরক্ষা নিয়ে আশ্বাস দিয়েছে।