আগের তুলনায় দেশে রান্নার কাজে বেড়েছে এলপিজি বা Liquified Petroleum Gas-এর ব্যবহার। কিন্তু এই গ্যাসের অনেকটাই বিদেশ থেকে আমদানি করে ভারত। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি বা কাতারের মতো দেশ ভারতের এই গ্যাসের চাহিদা পূরণ করে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে এই উত্তেজনার মধ্যে এলপিজি নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারে ভারত।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের আগুনে পুড়ছে মধ্যপ্রাচ্য; কাতারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পেট্রোল বা ডিজেলের ঘাটতি হয়তো হবে না ভারতে। কারণ তথ্য বলছে, ভারতে ইতিমধ্যে ৭৪ দিনের তেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়াও ভারত পরিশোধিত তেল রফতানি করে। আর সেই তেল রফতানি বন্ধ করলে দেশের অভ্যন্তরীণ ঘাটতি মেটানো সম্ভব। এ ছাড়াও ভারতের হাতে সস্তা রাশিয়ান তেলের বিকল্পও খোলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মীনাক্ষীর বিদায়; নিচুতলায় কমিটির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা নিয়ে আশঙ্কা সম্মেলনে
কিন্তু, গ্যাসের বিষয়টা এমন নয়। গ্যাসের জন্য ভারত মধ্যপ্রাচ্যের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। আর ভারতে বেশিদিনের এলপিজি মজুত রয়েছে এমনও নয়। খুব বেশি হলে ১৫-১৬ দিনের গ্যাস মজুত রয়েছে ভারতে। এমতাবস্থায় সঠিক বিকল্প হতে পারত পাইপলাইনে আসা প্রাকৃতিক গ্যাস। কিন্তু ভারতে ৩৩ কোটি গ্যাস ব্যবহারকারীদের মধ্যে মাত্র ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে।
সংবাদ সংস্থা ইকোনমিক টাইমস বলছে, আগামীতে তেলের দাম অল্প সময়ের জন্য হলেও বাড়তে পারে। তবে তা বেশিদিনের জন্য হয়তো স্থায়ী হবে না। কিন্তু গ্যাসের দাম ভবিষ্যতে কতটা বাড়তে পারে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।