সোমেন দত্ত, কোচবিহারঃ
বাঙালি মানেই বারো মাসে তেরো পার্বণ! কালীপুজো-ভাইফোঁটা যেতে না যেতেই, এসে পড়েছে আরও এক উৎসব জগদ্ধাত্রী পুজো। আর তারই শেষ মুহূর্তের তোড়জোড় বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত জুড়ে চলছে। কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় জগদ্ধাত্রী পুজোর অধিবাস পুজো হয়ে থাকে। আর এর হাত ধরেই এখানে শুরু হবে দেবীর আরাধনার। ফলে বর্তমানে প্রতিমা গড়ার কাজ দ্রুত গতিতে চলছে।
কেবল চন্দননগর বা কৃষ্ণনগর নয়। কোচবিহারের বাসিন্দারাও জগদ্ধাত্রী পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন এই সময়। মদনমোহন মন্দিরের প্রতিমা গড়ার কাজ বংশপরম্পরায় এই বছর করছেন শৌভিক পাল।
আরও পড়ুনঃ জারি নির্দেশিকা! চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোয় এবার একদিন পর বিসর্জনের শোভাযাত্রা
দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে তাঁদের এই বছরের জগদ্ধাত্রী পুজোর বাজেট ২৩ হাজার ৫০০ টাকা। আগামী ২৯ অক্টোবর অর্থাৎ সপ্তমীর দিন কাঠামিয়া মন্দিরে পুজো হবে। এই পুজোয় পঞ্চব্যঞ্জন ভোগ দেওয়া হয়ে থাকে। দেওয়া হয় জোড়া পায়রা বলি।
রাজ আমলে শুরু হয়েছে কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরের এই পুজো। এখানে এখনও বলি প্রথার চল রয়েছে। এখানে পুজোর তিন দিনই যজ্ঞ হয়ে থাকে।
কেবল সপ্তমী নয়, অষ্টমীর দিনও এখানে কাঠামিয়া মন্দিরে পুজো হয়, দেওয়া হয় জোড়া পায়রা বলি। তার পর পুজো হয় বড় দেবী মন্দিরে। সেখানে বামা দেবীর পুজো হয়। এই দিনই মদনমোহন মন্দির থেকে দেবী বাড়ি মন্দিরে হনুমানদণ্ড নিয়ে যাওয়া হয়। পুজো হয়ে গেলে, ভোগ নিবেদনের পর ফের এই হনুমানদণ্ড কাঠামিয়া মন্দিরে ফিরিয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুনঃ অবহেলায় “বাংলা”! দুর্গা, কালী, জগদ্ধাত্রী পুজোতে বাজলো না; ছট উপলক্ষে স্টেশনে স্টেশনে বাজছে গান
নবমীতে দিন ত্রয়োকালীন মন্দিরে পুজো হয়। এই দিন কেবল পায়রা নয়, বলি হয় পাঁঠা, মাগুর মাছেরও। দুপুরের পুজোর পর দেবীকে দেওয়া হয় অন্নভোগ। এ দিন দুপুরে পুজোর শেষে ৬ জন ব্রাহ্মণ এবং একজন কুমারীকে খাওয়ানো হয়। দেবীর ভোগে পুজোর ক’দিন রোজ খিচুড়ি, অন্ন, পাঁচ রকম ভাজা, ফল, পায়েস, লুচি, মিষ্টি থাকে।
দশমীর বিকেলেই বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমা। তার আগে এ দিন সকালে বিশেষ পুজোর আয়োজন থাকে। তার পর হয় ঘট বিসর্জন।





