ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিরোধী দলের তাই ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ সরকারি প্রকল্পের দায়িত্ব তৃণমূল নেতার উপর। এমনই বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে তপ্ত হল বৈঠক। মিটিংই বয়কট করে বেরিয়ে গেলেন বাম কাউন্সিলর।
জানা গিয়েছে, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ সরকারি প্রকল্প ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে করতে বুধবার ১০ নম্বর বরোতে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বোরো চেয়ারম্যান জুঁই বিশ্বাস এই বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে কলকাতা পুরসভার ‘সমাজ কল্যাণ বিভাগের’ আধিকারিকরা ছাড়াও ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের বাম কাউন্সিলর মধুছন্দা দেব, ৮৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মমতা মজুমদার, ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ নন্দী মজুমদার এবং ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তপন দাসগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন। বাদবাকি ৭ তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে।
আরও পড়ুনঃ ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব মোদীর; চুপ করে রইলেন না, জানিয়ে দিলেন সমঝোতা করা হবে না
মিটিং শুরু হতেই দেখা যায়, বাকি ওয়ার্ডগুলিতে যেখানে তৃণমূল ক্ষমতাসীন, সেখানে কাউন্সিলরদের এই সরকারি প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ৯২ নম্বর ওয়ার্ড বামেদের হাতে রয়েছে। সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওই ওয়ার্ডের ব্লক তৃণমূল সভাপতিকে। কেন এই ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে তাঁর সঙ্গে? এই নিয়ে প্রতিবাদ করেন মধুছন্দা।
এদিন, বাম কাউন্সিলর রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলতে থাকেন বিরোধী দলের কাউন্সিলর বলেই কি সরকারি প্রকল্প করতে দেওয়া হচ্ছে না? বৈঠকে অন্যান্য তৃণমূল কাউন্সিলররা শান্ত হতে বললেও, তিনি চুপ করে বসে থাকতে পারেননি। রীতিমতো উচ্চস্বরে সরব হয়ে তিনি বৈঠক বয়কট করে বেরিয়ে যান। মধুছন্দা বলেন, “মিটিং ডাকা হয়েছিল। আমরা গেলাম। চেয়ারপার্সন জানালেন কাউন্সিলর কীভাবে কাজ করবেন। যে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রয়েছেন তাঁরা ঠিক দায়িত্ব পেয়েছেন। আর আমার ওয়ার্ডে ব্লক প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি জানতে পেরেই প্রতিবাদ করলাম। কেন এটা হবে? আমি কেন বাদ থাকব? আমি এসেছিলাম কাজ করব বলে। যদি সেইটাই না করতে পারি… সেই কারণে চলে গিয়েছি।”
আরও পড়ুনঃ প্ল্যাটফর্মে থামলই না, হু-হু করে এগিয়ে গেল গোঘাট লোকাল
এমনকি বৈঠকের বিষয়ে যে মিনিটসে লিখে রাখা হয়, সেখানেও যেন বাম কাউন্সিলর বয়কট করেছেন এই বিষয়টি লেখা হয়। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বরো চেয়ারম্যান জুঁই বিশ্বাস বলেন, “এই প্রোজেক্টের দায়িত্ব বিধায়কদের। আর বোরো দেখছে। এখন যদি বিধায়ক ঠিক করতে চান কাকে দায়িত্ব দেবেন দিতেই পারেন। ওঁকে কেউ আসতে বারণ করেননি। আর মধুছন্দাদিকে অনেকদিন ধরেই চিনি। হঠাৎ কেন এমন করলেন?”