মহাঅষ্টমীর পুণ্যতিথিতে বেলুড় মঠের বিশেষ আকর্ষণ কুমারী পূজা। মঙ্গলবার প্রথা মেনে যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হল উমারূপে আরাধনা। ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে পূজারম্ভ, তারপর সকাল ৯টায় কুমারী পূজার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুনঃ হাতে সময় মাত্র ২৪ ঘণ্টা! নিম্নচাপ গ্রাস করবে বাংলাকে?
স্বামী বিবেকানন্দ ১৯০১ সালে এই আচার চালু করেছিলেন। তখন থেকে প্রতি মহাষ্টমীর সকালে অল্পবয়সি এক বালিকাকে দেবীরূপে পূজা করার প্রথা মেনে আসা হচ্ছে। ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী, ১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে কুমারীরা নেতিবাচক শক্তির ঊর্ধ্বে থাকে এবং তাদের মধ্যে মাতৃভাবনা প্রকাশ পায়। এবছরও কুমারীকে উমারূপে পূজা করা হয়েছে।
এদিন মঠ প্রাঙ্গণে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ঢল নামে। মূল মন্দিরের পাশে অস্থায়ী দুর্গামণ্ডপে মহারাজদের সঙ্গে অগণিত মানুষ সরাসরি কুমারী পূজা দর্শন করেন। প্রাঙ্গণে বসার আলাদা ব্যবস্থা করা হয়, এছাড়াও জায়ান্ট স্ক্রিনে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়, যাতে ভিড় সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যাঁরা মঠে উপস্থিত হতে পারেননি, তারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সরাসরি দেখতে পেয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ আজ আশ্বিন শুক্লা অষ্টমী তিথি; মহাষ্টমীর দিন বড়সড় সুসংবাদ পাবে এই চার রাশি
কুমারী পূজার পাশাপাশি সন্ধ্যা ৫টা ৪৩ মিনিট থেকে ৬টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সন্ধিপূজার আয়োজন করা হয়েছে। প্রথামতো বেলুড় মঠে কোনও পশুবলি হয় না। ভক্তদের জন্য এবারও খিচুড়ি ভোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে, প্রায় ৩০ হাজার মানুষের জন্য রান্না করা হয়েছে।
মা সারদার অনুমতিতে শুরু হওয়া এই প্রথা আজও অব্যাহত। মহাষ্টমীর দিন বেলুড় মঠে ভক্তদের অগণিত সমাগম তার এক জীবন্ত সাক্ষী হিসেবে ধরা দেয়।