মেট্রো স্টেশনে সহপাঠীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল দক্ষিণেশ্বর থানার পুলিশ। গতকাল রাতে হাওড়া স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মা-বোনকে সঙ্গে নিয়ে বিহারের পালানোর ছক কষেছিল সে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাওড়া স্টেশনে তাকে ধরে ফেলেন তদন্তকারীরা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সহপাঠীকে খুনের কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ চিকিৎসকের ভয়ঙ্কর কীর্তি! অপারেশন থামিয়ে নার্সের সঙ্গে বিশেষ কাজে! কী সেই কাজ?
গতকাল দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। মৃত ছাত্র বাগবাজার বয়েজ স্কুলে পড়াশোনা করত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। মেট্রো স্টেশন তুলনামূলকভাবে ফাঁকা ছিল। টিকিট কাউন্টারের সামনেই দুই দল ছাত্রের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। কিছু বুঝে ওঠার আগে আচমকাই এক ছাত্র ব্যাগ থেকে ছুরি বার করে অপর ছাত্রের গলায় চালিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে সে। বাকিদের চিৎকার চেঁচামেচিতেই গুটি কয়েক যাত্রী, রেল পুলিশ, আরপিএফ, ছুটে আসেন। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রের।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই শুরু হয়। মেট্রো স্টেশনে কীভাবে কেউ ছুরি নিয়ে ঢুকে পড়ল, সেই প্রশ্ন উঠতে থাকে। মেট্রো স্টেশনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন যাত্রীরা। এদিকে, জানা যায়, প্রণয়ঘটিত কারণেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু, তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায়, সহপাঠীকে খুনের পর মা-বোনকে নিয়ে বিহারে পালানোর ছক কষছে মূল অভিযুক্ত। হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে যায় দক্ষিণেশ্বর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত ও তার মা-বোনকে পাকড়াও করে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তার মা-বোনকে গ্রেফতার না করে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ জারি সুনামির সতর্কতা; ৭.৪ মাত্রার জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাশিয়া
এদিন ধৃতকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাবে পুলিশ। হেফাজতে নিয়ে খুনের কারণ জানার চেষ্টা করা হবে বলে দক্ষিণেশ্বর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। শুধুমাত্র প্রণয়ঘটিত কারণে খুন, নাকি এর পিছনে বড় কোনও চক্রান্ত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।