আজ ও আগামিকাল মিলিয়ে বেশ কয়েকটি সংশোধনী বিল পেশ হওয়ার কথা রয়েছে বিধানসভায়। সোমবার সেই নিরিখেই বসেছিল অধিবেশন। প্রথমার্ধে ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। আর তখনই উত্তাল হয় পরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের মাঝেই হট্টগোল বিজেপি বিধায়কদের।
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। এই রাজ্যের বকেয়া ও পাওনা টাকা তারা পাঠিয়ে দিচ্ছে অন্য রাজ্যে। একাধিক কমিশন এখানে এসেছিল, তারা যা যা জানতে চেয়েছে, সেই সব তথ্যই তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও পাওনা নিয়ে টালবাহানা।’
আরও পড়ুন: লটারি লেগে গেল! হাজার হাজার কোটির সম্পত্তি; জ্যাকপট পেল ভারত
মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগের মাঝেই শুরু হয়ে যায় গোলমাল। বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মমতার ভাষণের মাঝেই উঠে দাঁড়িয়ে স্লোগান তোলেন বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় ও শঙ্কর ঘোষরা। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভরা বিধানসভায় গলা উঁচিয়ে প্রতিবাদে নামে তারা। পাল্টা চুপ থাকেননি মমতাও। বিজেপি বিধায়কদের দিকে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে তোপ দাগেন তিনি।
‘প্রতিবাদী’ বিজেপি বিধায়কদের কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে কাউন্সিলর নির্বাচনে জিতে আসুন। আমাকে তো জোর করে হারানো হয়েছে। আমি জিতে দাঁড়িয়ে আছি’ পাশাপাশি, অসমের বিজেপি সরকারের দিকে ইঙ্গিতে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘বাংলা ভাষায় কথা বললে কিছু রাজ্যে হেনস্থা করা হচ্ছে। বাংলাদেশি বলে সেই সমস্ত বাসিন্দাদের বিতাড়িত করা হচ্ছে।’ অবশ্য, মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগকে কাটার জন্য সেই সময়েই ‘শেম-শেম’ বলে চিৎকার করে ওঠেন বিজেপি বিধায়করা।
আরও পড়ুন: মেয়রের ওয়ার্ডেই বাংলাদেশী! অস্বস্তিতে তৃণমূল
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব প্রথম নয়। এর আগেও বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের দিকে ‘বিমাতৃসুলভ’ আচরণের অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি, এদিনও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলতে গিয়ে মোদীর সরকারকে ‘চোরেদের সরকার’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, ‘এমন অসঙ্গতি অন্য সকল রাজ্যেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু টাকা আটকানো হয় না। বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে।’