Friday, 1 August, 2025
1 August, 25
HomeকলকাতাDurga Puja 2025: ‘এবার কত দেব? ৯০… ৯৫…’, বলেই ১ লাখ ১০...

Durga Puja 2025: ‘এবার কত দেব? ৯০… ৯৫…’, বলেই ১ লাখ ১০ হাজার; ২৬ এর আগে কল্পতরু মমতা

দুর্গাপুজোতে রাজ্যের সব ক্লাব ও পুজো কমিটিগুলো পাবে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

আবার বাড়ল পুজোর অনুদান। বাড়ল আরও ২৫ হাজার টাকা। দুর্গাপুজোর জন্য উদ্যোক্তাদের এ বছর ১ লাখ ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত বছর পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই সময়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ঘোষণা করেছিলেন, এ বছর এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। তবে বাস্তবে সেই ঘোষণার চেয়েও ১০ হাজার টাকা বেশি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে যোগ হল বিদ্যুতের ছাড়। পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুতের মাসুলেও ৮০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার জন্য সিইএসই এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদকে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ঘোষণা করেছেন, আগামী ৫ অক্টোবর পুজো কার্নিভাল হবে কলকাতায়। তার আগে ২, ৩ এবং ৪ অক্টোবর— এই তিন দিন প্রতিমা বিসর্জন হবে।

আরও পড়ুনঃ নজর পড়েছে ইসলামাবাদে! পাকিস্তানের সঙ্গেই মাখামাখি শুরু করেছেন ট্রাম্প

এ বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে শারদোৎসব। প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পুজো কমিটিগুলি। সেই আবহে বৃহস্পতিবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক শীর্ষকর্তারা, কলকাতা পুরসভা, দমকল বিভাগ, সিইএসসি, পুলিশ প্রশাসন, পরিবহণ ও স্বাস্থ্য দফতরের মতো পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা।

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে এক সামাজিক, সাংস্কৃতিক আবহ তৈরি করেছেন মমতা। সরকারি অনুদান থেকে শুরু করে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, মহিলাদের জন্য পিঙ্ক পুলিশ, স্বাস্থ্য পরিষেবা— সমস্ত ক্ষেত্রেই পুজোর সময় নজরদারি বাড়ানো হয়। এ বারও যাতে তার অন্যথা না হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, পুজোমণ্ডপগুলিতে কড়া নজরদারি রাখার কথাও বলেছেন। তিনি জানান, ড্রোন, সিসি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নজরদারি চালাতে হবে। মণ্ডপে আসা মহিলাদের নিরাপত্তা, প্রবীণদের সুবিধার দিকটিও পুজো কমিটিগুলিকে খেয়াল রাখতে বলেছেন তিনি।

আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তা নজরে রেখেই অনুদানের অঙ্ক বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করা হল বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তাদের দাবি, গত বছর লোকসভা ভোট ছিল। তৃণমূল তাতে ভাল ফল করেছিল। সে বছর অনুদান বৃদ্ধি করে পুজো কমিটিগুলিকে ‘পুরস্কার’ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বছর ‘উৎসাহ’ দিলেন! আগামী বছর ভোটের সময় যাতে তারা তৃণমূলের হয়েই কাজ করে।

আরও পড়ুনঃ বাঁকুড়ার বেহাল রাস্তা, আর এল না অ্যাম্বুলেন্স; খাটিয়ায় শুয়ে হাসপাতালে রোগী

পাল্টা শাসকদলের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী চান, রাজ্যে নতুন সংস্কৃতির প্রসার ঘটুক। আর উৎসবের মধ্য দিয়েই তা সম্ভব। ধর্ম যার যার, উৎসব সকলের। এ কথা হামেশাই বলে থাকেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় খুশি পুজো কমিটিগুলিও। পুজো কমিটিগুলির একটি বড় অংশের বক্তব্য, এই অনুদানটুকুই তাদের ভরসা। আর ইদানীং যে ভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তাতে অনুদানের অঙ্ক না বাড়ানো হলে সুষ্ঠু ভাবে পুজোর আয়োজন করা মুশকিল।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে রাজ্যের পুজো উদ্যোক্তাদের ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই পুজো বাবদে বিদ্যুতের বিলে ২৫ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে অনুদানের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা এবং করোনার সময়ে এক লাফে ৫০ হাজার টাকা করা হয়। ২০২২ সালে তা বেড়ে ৬০ হাজার এবং ২০২৩ সালে ৭০ হাজার টাকা করা হয়। ২০২৪ সালে আরও ১৫ হাজার টাকা বাড়ানো হয়। এ বার হল ১ লাখ ১০ হাজার! মাঝখানের সময়ে অনুদানপ্রাপ্ত পুজো কমিটির সংখ্যাও বেড়েছে।

গত বছর আরজি কর আন্দোলনের আবহে রাজ্য সরকারের দেওয়া পুজোর অনুদান ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল কিছু পুজো কমিটি। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, যারা অনুদান নেবে না, তাদের বাদ দিয়ে নতুন পুজো কমিটিদের অনুদান দেওয়া হবে। গত বছর যে সব পুজো কমিটি অনুদান নেয়নি, তারা এ বার অনুদান নেয় কি না, এখন সেটাও দেখার।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন