কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
উত্তরবঙ্গ সফরের আগে স্পষ্ট ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির সঙ্গে দূরত্ব রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেপাল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “নেপাল নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। এটা ভারত সরকারের বিষয় (New Delhi-Nepal relations)। আমরা প্রতিবেশী দেশদের ভালবাসি। চাই সবাই শান্তিতে থাকুক। প্রতিবেশী ভাল থাকলেই আমরা ভাল থাকব।”
তবে সীমান্ত রাজ্য হিসেবে শিলিগুড়ি ও কালিম্পংয়ে নজরদারি চালাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। সূত্রের খবর, নেপালের উত্তেজনার আঁচ যাতে রাজ্যের কোনও অংশে না পৌঁছায়, তার জন্য ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘নেপালের জন্য ব্ল্যাক ডে’ বলে উল্লেখ অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার
নেপালজুড়ে সোমবার থেকে শুরু হওয়া ছাত্র-যুব আন্দোলনের ঢেউ মঙ্গলবার আরও জোরালো হয়ে উঠেছে। রাজধানী কাঠমান্ডু সহ বিভিন্ন শহর উত্তপ্ত, রাস্তায় নেমে আসা জনতার সঙ্গে পুলিশ ও সেনার সংঘর্ষ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। একাধিক শহরে সরকারি দফতরে আগুন, ইট-পাথর ছোড়াছুড়ি, ভাঙচুর— সব মিলিয়ে দেশ কার্যত যু
এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নেপাল সীমান্ত নিয়ে কেন্দ্র এখনও আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি। তবে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি, কালিম্পং সহ প্রত্যেকটি এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।”
আরও পড়ুনঃ মিরিক-পানিট্যাঙ্কিতে পাঠানো হল বিশাল ফোর্স, আগুন জ্বলছে ওপারে
একই সঙ্গে সাংবাদিকদের অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও ফের মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “আমরা এসআইআরের (SIR) বিরুদ্ধে। কারণ এটা ২-৩ মাসে হয় না, করতে গেলে ২-৩ বছর সময় লাগে।” তিনি আরও দাবি করেন, প্রাক্তন কমিশনাররাও এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, যা বর্তমান কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই চ্যালেঞ্জ করছে।
বুধবার উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক সভা থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে উপভোক্তাদের হাতে পরিষেবা তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার ফের কলকাতায় ফেরার কথা রয়েছে তাঁর।