Saturday, 5 July, 2025
5 July, 2025
HomeকলকাতাKasba Case: ফেসবুকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে পোস্ট করা মনোজিৎ মিশ্র নিজেই অভিযুক্ত

Kasba Case: ফেসবুকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে পোস্ট করা মনোজিৎ মিশ্র নিজেই অভিযুক্ত

তিনি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে ফাঁসির দাবি জানিয়েছিলেন।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

আবারও তোলপাড় শহর। কসবা ল কলেজে এক ছাত্রীর ধর্ষণের অভিযোগে কাঠগড়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা মনোজিৎ মিশ্র। অভিযোগ, গার্ড রুমে টেনে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে মনোজিত এবং তার সঙ্গীরা। অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের পর পুলিশ ইতিমধ্যেই তাদের গ্রেফতার করেছে।

বিতর্ক এখানেই থামেনি। মনোজিতের ফেসবুক প্রোফাইলে দেখা গিয়েছে, তিনি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে ফাঁসির দাবি জানিয়েছিলেন। গত বছরের ১৫ অগস্ট একটি প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়ে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন মনোজিত। শুধু ওই একটি পোস্ট নয়, আরজি করের ঘটনায় দ্রুত বিচার চেয়ে এবং সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেও তিনি একাধিক পোস্ট করেছিলেন।তবে, সেই পোস্টের সঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক কার্যকলাপ যেন অঙ্গুলি নির্দেশ করছে প্রবল দ্বিচারিতা।

আরও পড়ুন: সেই ‘অসহায়’ সাক্ষী রক্ষীকেও ধরল পুলিশ! গ্রেফতার করা হল নিরাপত্তারক্ষীকেও

কসবা ল কলেজের পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে ক্লাসে শিক্ষকদের উপস্থিতি—সব কিছুতেই মনোজিতের একচ্ছত্র প্রভাব ছিল। প্রাক্তন ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও কলেজে তার ‘দাদাগিরি’ চলত। ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষকদের উপর চাপ সৃষ্টি, এমনকি কলেজের সিসিটিভি ভাঙচুরের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

২০১২ সালে ল কলেজে ভর্তি হয়েছিল মনোজিত। প্রথম বছরেই ছুরি মারার ঘটনায় তার নাম জড়ায়। ডিসকলেজিয়েট হয় ২০১৪ সালে। ২০১৭-তে ফের ভর্তি হলেও তার দাদাগিরি বন্ধ হয়নি। শিক্ষকদের ঘেরাও, সহপাঠীদের হুমকি, রয়েছে হাজারও অভিযোগ।

আরও পড়ুন: কসবার ছাত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষায় মিলল ধর্ষণের প্রমাণ, কামড় ও আঁচড়ের দাগও স্পষ্ট

মনোজিত ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দক্ষিণ কলকাতা ইউনিটের প্রেসিডেন্ট। বড় নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে জুনিয়রদের ভয় দেখানো এবং কলেজের নানা বিষয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে।

নির্যাতিতার অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট সভানেত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে তাকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়। তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে ধর্ষণ করা হয়। এমনকি হাতজোড় করেও রেহাই পাননি।

এই ঘটনার পর প্রশ্নের মুখে শাসকদল। কলেজে প্রভাবশালী নেতা হিসাবে পরিচিত মনোজিতের বিরুদ্ধে কেন এত দিন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্নই তুলছেন ছাত্র ও শিক্ষক মহল। যদিও তৃণমূলের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, ধর্ষককে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নই নেই। ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন শাসকদলের নেতারা।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন