ছত্তীসগঢ়-তেলঙ্গানা সীমানায় পাহাড়-জঙ্গলঘেরা এলাকায় যৌথবাহিনীর ‘জাঁতাকলে’ পড়েছে ৫০০-র বেশি মাওবাদী। গত পাঁচ দিনে গুলির লড়াইয়ে আট জনের মৃত্যুও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার মাওবাদীদের আত্মসমর্পণের জন্য চরম হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের জঙ্গলযুদ্ধে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনী ‘কোবরা’র পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়ের সশস্ত্র পুলিশ ও ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড বাহিনী, মহারাষ্ট্র পুলিশের সি-৬০, তেলঙ্গানা পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনীও রয়েছে অভিযানকারী দলে। নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-এর সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র ১ নম্বর ব্যাটেলিনের ঘাঁটি রেগুট্টা এবং দুর্গামগুট্টার ঘন জঙ্গলে ঘেরা পাহাড় ঘিরে ধীরে ধীরে অভিযান সংহত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিআরপিএফ।
আরও পড়ুন: সুকনার কাছে উলটে গেল টয়ট্রেনের ইঞ্জিন, প্রাণে বাঁচলেন চালক ও সহকারী চালক
ছত্তীসগঢ়ের রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার দূরে বস্তার ডিভিশনের ওই দুর্গম এলাকায় মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ নেতাও বেড়াজালে আটক হয়েছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর। সেই সঙ্গে রয়েছেন তেলঙ্গানা রাজ্য কমিটি এবং দণ্ডকারণ্য বিশেষ জ়োনাল কমিটির অধিকাংশ গেরিলা কমান্ডারেরা। এই পরিস্থিতিতে নজরদারির কাজে হেলিকপ্টার এবং ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। ছত্তীসগঢ় পুলিশের এক আধিকারিক পিটিআইকে জানিয়েছেন, ভারতের ইতিহাসে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে এটিই বৃহত্তম অভিযান। দ্রুত আত্মসমর্পণ না করলে রেগুট্টা এবং দুর্গামগুট্টায় ‘চুড়ান্ত অভিযান’ চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।