দাড়ি কামানোর পর অনেক সময়েই ব্লেডের জন্য গালে জ্বালা শুরু হয়। অনেক সময় গাল ছড়েও যায়। গরমকালে বাতাসে আর্দ্রতার জন্য শরীর থেকে জল ঘাম আকারে বেরিয়ে যায়। ফলে এই সময়ে শুষ্ক ত্বকে দাড়ি কামানোর সময়ে কাটা-ছেঁড়ার সমস্যা হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে দাড়ি কামানোর পরে গালে লাল র্যাশ দেখা দেয়। কয়েকটি পরামর্শ মনে রাখলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে—
১) দাড়ি কামানোর আগে হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে ত্বককে নরম করে নেওয়া উচিত। এর ফলে ত্বকের রোমকূপগুলি উন্মুক্ত হবে। এর পর প্রয়োজনে অল্প নারকেল তেলও গালে মালিশ করা যায়। এর ফলে দাড়ি কামানোর সময়ে ত্বকে ব্লেডে ঘর্ষণ অনেকটাই কমবে।
২) গালে সব দাড়ির গ্রোথ একই দিকে হয় না। তাই বিপরীত দিক থেকে ক্ষুর চালালে অনেক সময়েই রক্তপাত হতে পারে। কখনও কখনও গালে জ্বালাভাব বা লা ছোপ পড়তে পারে। তাই দাড়ির অভিমুখ বুঝে ক্ষুর চালানো উচিত।
৩) সপ্তাহে এক থেকে দু’বার স্ক্রাবিং করলে, ত্বকের মৃত কোষ দূর হয়। পাশাপাশি, ত্বকের উপরের ময়লাও দূর হয়। এর ফলে দাড়ি কাটার সময়ে জ্বালা ভাব কমানো সম্ভব।
৪) দাড়ি কামানোর পর অনেকেই আফটার শেভ লোশন ব্যবহার করতে পারেন না। কারণ আফটার শেভ লোশনে অ্যালকোহল থাকে, যা থেকে অনেকের ত্বকে র্যাশ হয়। এ ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এই জেল দাড়ি কাটার পর গালের ত্বককে শীতল ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: ৩-৪ জঙ্গিকে ঘিরে ফেলেছে সেনা, উপত্যকায় সকাল থেকেই ঘনঘন গুলির শব্দ
৫) সাধারণত সময়ের সঙ্গে ক্ষুরের ব্লেডের ধার কমে আসে। কম ধার যুক্ত ব্লেডে দাড়ি কাটলে ত্বকের ক্ষতি হয়। তার পর জ্বলুনি শুরু হয়। পাঁচ থেকে সাত বার দাড়ি কামানোর পর ক্ষুর বা রেজ়ারের ব্লেড পরিবর্তন করা উচিত।