আবার বিভ্রাট মেট্রোয়। আবারও! বুধের পর বৃহস্পতিবার দুপুরেও থমকে গেল মেট্রো পরিষেবা। দক্ষিণেশ্বর থেকে মহানায়ক উত্তম কুমার, অর্থাৎ টালিগঞ্জ স্টেশন পর্যন্ত প্রায় আধ ঘণ্টা মেট্রো চলল ভাঙাপথেই। আচমকা এই বদলের জেরে আবারও বিপাকে পড়লেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা পেরিয়ে দেখে আসুন হুগলি জেলার বনেদি বাড়ির পুজো, রইল বাছাই করা কিছু পুজোর হদিস
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ২০ মিনিটে হঠাৎ ঘোষণা করা হয়, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আপাতত মহানায়ক উত্তম কুমার থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনের মধ্যে মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকবে। অগত্যা দক্ষিণেশ্বর থেকে মহানায়ক উত্তম কুমার পর্যন্ত ভাঙাপথে মেট্রো চলাচল শুরু হয়। মেট্রো কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, কবি সুভাষ স্টেশনে একটি পয়েন্ট খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণেই এই বিপত্তি। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। মেট্রো সূত্রে দাবি, বেলা ১২টা ৫০ মিনিট নাগাদ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে।
মেট্রোয় এই গোলযোগের জেরে ফের বিপাকে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরেও থমকে গিয়েছিল কলকাতা মেট্রো। জানানো হয়েছিল, প্রযুক্তিগত কারণে দক্ষিণেশ্বর নয়, বরাহনগর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত মেট্রো চলবে। সোমবারও ব্যস্ত সময়ে কবি নজরুল স্টেশনে একটি মেট্রো রেক খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ফলে মহানায়ক উত্তম কুমার বা টালিগঞ্জ স্টেশনের পর থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পরিষেবা। সপ্তাহের প্রথম দিনে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছিল অফিসযাত্রীদের। অর্থাৎ চলতি সপ্তাহে এখনও পর্যন্ত মঙ্গলবার ছাড়া রোজই কিছু না কিছু গোলযোগ দেখা দিয়েছে মেট্রোয়। বৃহস্পতিবারও তার অন্যথা হল না।
আরও পড়ুনঃ মহা সমস্যায় পর্যটকরা! তারাপীঠে নয়া নিয়ম
কালিকাপুরের বাসিন্দা সুতপা চক্রবর্তী। চাঁদনি চকে যাওয়ার জন্য মেট্রো ধরবেন। দাঁড়িয়ে রয়েছেন কালীঘাট স্টেশনে। তিনি জানাচ্ছেন, ১২টা ৫৭ মিনিটের মেট্রো এখনও কালীঘাটে ঢোকেনি। সূচি অনুযায়ী পরের তিনটি মেট্রোর আসার কথা যথাক্রমে ১টা ৪ মিনিট, ১টা ১১ মিনিট এবং ১টা ১৮ মিনিটে। সেগুলিও এসে পৌঁছোয়নি। বোর্ডের সময়সূচি অনুযায়ী, এর পরের মেট্রোর আসার কথা ১টা ২৫ মিনিটে। ২৮ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন যাত্রীরা। অথচ মেট্রোর তরফে এত ক্ষণ কোনও ঘোষণাই করা হয়নি বলে জানাচ্ছেন সুতপা! শেষমেশ ১টা ২৫ মিনিট নাগাদ জানানো হয়েছে, টালিগঞ্জ এবং রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনে পর পর দু’টি মেট্রো দাঁড়িয়ে রয়েছে। সে কারণেই এই দেরি।
তবে গত মাসখানেক ধরে কলকাতা মেট্রোয় একের পর এক বিভ্রাট দেখতে দেখতে যেন একপ্রকার অভ্যস্তই হয়ে গিয়েছেন নিত্যযাত্রীরা! ব্লু লাইনের প্রান্তিক স্টেশন কবি সুভাষে মেট্রোর পিলারে ফাটল দেখা দেওয়ায় ওই স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রান্তিক স্টেশন শহিদ ক্ষুদিরাম। তার পর থেকে ক্রমেই ভোগান্তি বেড়েছে যাত্রীদের।