গতি পেতে চলেছে বারাকপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণের কাজ। শুক্রবার এনিয়ে কলকাতা পুরসভায় বৈঠক করলেন মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ডানলপ মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে বিটি রোড বরাবর বারাকপুর চিড়িয়ামোড় পর্যন্ত মেট্রোর কাজে পিলার তুলতে গেলে বিটি রোডে খোঁড়াখুঁড়ি করতে হবে। আবার ব্রিটিশ আমলে পলতা থেকে গঙ্গা জল উত্তোলন করে পরিশোধনের পর টালা ট্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিটি রোডের নিচে, ভূগর্ভে বসানো হয়েছিল পাইপ লাইন। বর্তমানে এই অংশের মাটির নিচে ছ’টি পাইপ রয়েছে। মেট্রোর কাজ শুরু করতে হলে টালা-পলতা পানীয় জলের পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনটা হলে কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জলের সংকট দেখা দেবে। এনিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে এদিনের বৈঠকে।
আরও পড়ুন: ছিন্নভিন্ন দেহ, বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাটোয়ার রাজোয়া গ্রাম
কলকাতার মেয়র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বারাকপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ বারিক, রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড, পিডব্লিউডি সহ কেএমসিএ’র কর্তারা। বিটি রোডের নিচের পাইপ বদলালেও কলকাতায় জল সরবরাহের ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োজন। তা ব্যবহার করতে হলে অত্যন্ত খরচসাপেক্ষ হবে। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এই গোটা কাজের জন্য কত খরচ হবে, তা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরবিএনএল) মোটামোটি হিসেব করে রেলমন্ত্রককে জানাবে, যাতে রেলের তরফে বরাত মেলে। রেল সবুজ সংকেত দিলেই বিটি রোডের কিছু কিছু অংশ কেটে দেখা হবে, পাইপ কতটা নিচে আছে, কতগুলি পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমনটা হলে কী পাইপ বসানো প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: চুপিসারে তিন পাক সেনা অফিসার! গৃহযুদ্ধ সময়ের অপেক্ষা!
প্রসঙ্গত, ডানলপ মোড় পর্যন্ত মেট্রোর লাইন এসে গিয়েছে। একদিকে রয়েছে বরানগর ও অন্যদিকে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশন। সম্প্রসারণ করে ডানলপ মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে বিটি রোড বরাবর বারাকপুর চিড়িয়ামোড় পর্যন্ত মাটির উপর দিয়ে মেট্রো সম্প্রসারণের উদ্যোগ আগেও নেওয়া হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, প্রায় ১৩ কিলোমিটার এই পথে মোট ১০টি স্টেশন থাকবে। প্রস্তাবিত এই রুটটি বরানগর মেট্রো স্টেশন থেকে ডানলপ মোড়ে ইন্টারচেঞ্জ হয়ে প্রথমে কামারহাটি, তারপর আগরপাড়া, সোদপুর, পানিহাটি, সুভাষনগর, খড়দহ, টাটা গেট, টিটাগড়, তালপুকুর হয়ে বারাকপুরে শেষ হবে। দুটি পর্যায়ে এই কাজ করার প্রস্তাব হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে বরানগর থেকে সোদপুর পর্যন্ত, পরবর্তী পর্যায়ে বাকি অংশের কাজ হবে। এই কাজে গতি আনতে এদিনের বৈঠকের পর আশা দেখছে গঙ্গাপাড়ের শিল্পাঞ্চলে বাসিন্দারা।